কলকাতা, 16 অক্টোবর: তিনি চলে গিয়েছেন বছরদু'য়েক হল। রাজনৈতিক মহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সম্পর্ক ছিল দাদা-বোনের। সোমবার সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রাণের পুজো একডালিয়া এভারগ্রিনের ভার্চুয়াল উদ্বোধনের সময় সুব্রতর স্মৃতিতে ভারাক্রান্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন পুজো উদ্বোধনে সুব্রত-জায়া ছন্দবাণী মুখোপাধ্যায়ের জন্য মন কেমন খারাপ হয়ে যায় খোদ মুখ্য়মন্ত্রীর ৷ এদিন পাড়ার লোককে বৌদির খেয়াল রাখার কথাও বললেন। একইসঙ্গে বলেন, "একদিন সুব্রত'দার বাড়িতে যাওয়ার ইচ্ছা আছে।" সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর কলকাতার পুজো উদ্বোধন শুরু হয় সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের পুজো একডালিয়া এভারগ্রিন দিয়েই। প্রত্যেক বছর এই সাবেকি পুজোর টানে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই মণ্ডপে আসেন। আসেন একদা তার রাজনৈতিক সহযোদ্ধা, গুরু, দাদা সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের টানেই। এই উদ্বোধনে ঘুরে-ফিরে আসে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমার সুব্রত'দার মুখটা মনে পড়ছে। আমি ভীষণভাবে মিস করি তাঁকে। খুব কষ্ট লাগে ৷ আমি কিছুতেই ভুলতে পারি না, যে মানুষটা এত হাসি-খুশি, সেই হঠাৎ করে হারিয়ে গেলেন।" মমতা-সুব্রত সম্পর্কটা আজকের নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখন মমতা হননি। সে সময় পোড় খাওয়া রাজনীতিক সুব্রত মুখোপাধ্যায় ছিলেন তাঁর পথপ্রদর্শক। 1984-এর লোকসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে যাদবপুর থেকে টিকিট পেয়েছিলেন, শোনা যায় তার পেছনেও সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের হাতযশ ছিল।
এদিন পুজো উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ থেকেই বেরিয়ে পড়ে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের তাড়াতাড়ি চলে যাওয়ার পেছনে চিকিৎসার গাফিলতি ছিল। তিনি বলেন, "এই হাসিমুখটা দেখি আর মনে মনে ভাবি কী করে সুব্রত'দা এত তাড়াতাড়ি চলে গেলেন। নিশ্চয়ই চিকিৎসায় কিছু ভুলভ্রান্তি ছিল। যার কারণে এত তাড়াতাড়ি মানুষটাকে আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হল। পাড়ার সবাইকে বলব বৌদির একটু দেখে রাখবেন যাতে বৌদির কখনও কোনও অসুবিধা না হয়।"