কলকাতা, 26 নভেম্বর:তাজপুরে বন্দর তৈরি নিয়ে আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে কথা চলছে রাজ্যের। বন্দর তৈরির বিষয়ে কেন্দ্রের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। কেন্দ্র কিছু বিষয় নিয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছে। তা নিয়ে আদানি গোষ্ঠাীর সঙ্গে রাজ্যের কথা চলছে ৷ রবিবার এই কথা জানিয়েছেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী শশী পাঁজা ৷
সম্প্রতি বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে তাঁর বক্তব্যে তাজপুর বন্দর নিয়ে নতুন করে টেন্ডার ডাকার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তখন থেকেই আলোচনা চলছিল, তাহলে কি আদানিদের রাজ্য সরকারের তরফ থেকে যে 'লেটার অফ ইনটেন্ট' দেওয়া হয়েছিল তা প্রত্যাহার করা হচ্ছে ! পরবর্তীতে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, রাজ্য সরকার পুরনো লেটার অফ ইনটেন্ট বাতিল করে নতুন করে গ্লোবাল টেন্ডার ডাকতে চলেছে। এরপরই বিরোধী দল বিজেপি বলতে শুরু করে সরকার নয়, আদানিরা নিজেরাই এই চুক্তি বাতিল করেছে । রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে কিছু তথ্য তুলে ধরে এই নিয়ে সরকারকে আক্রমণও করেন ।
তবে এতদিন পর্যন্ত এই বিষয়টি নিয়ে সরাসরি রাজ্য সরকারের কোনও বক্তব্য জানা যায়নি ৷ অবশেষে এই নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী শশী পাঁজা । এদিন তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, বিরোধীরা এই বিষয়টি নিয়ে যে প্রচার করছে, তা আদৌ সত্য নয় । বিরোধীরা কিছু না-জেনে কথা বলছে।
এদিন দিল্লির প্রগতি ময়দানে ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ফেয়ার অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে শশী পাঁজা বলেন,"তাজপুর বন্দর নিয়ে আদানিকে লেটার অফ ইনটেন্ট দেওয়া হয়েছিল । বন্দর তৈরির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের জাহাজ মন্ত্রক, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, বিদেশ মন্ত্রক এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। সেই অনুমোদনের কাজ চলছে । ভারত সরকার প্রাথমিক একটি ছাড়পত্র দিয়েছে, তবে তার সঙ্গে একটি পর্যবেক্ষণের কথাও জানিয়েছেন ৷ কেন্দ্রের এই পর্যবেক্ষণের উপর আমরা এবং আদানি গোষ্ঠী কাজ করছি এবং কিছু ছাড়পত্র চেয়ে নিচ্ছি । এই কাজগুলিই চলছে এখন । মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকেই আমি বলছি, আদানি গ্রুপ এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে এখনও তাজপুর বন্দর নিয়ে আলোচনা চলছে ।"
কয়েকদিন আগে শিল্প সম্মেলনের পর বিজিবিএস থেকে পাওয়া বিভিন্ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন নিয়ে নবান্নের বৈঠকে তাজপুর বন্দর নিয়ে সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করার দায়িত্ব রাজ্যের দুই মন্ত্রী শশী পাঁজা এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তারপরেই এদিন শশী পাঁজার এই বক্তব্য নতুন করে বিষয়টি নিয়ে একটা ধোঁয়াশা তৈরি করল । প্রশ্ন উঠছে তাজপুর বন্দর নিয়ে বিজিবিএসে মুখ্যমন্ত্রী যে টেন্ডারের কথা বলেছিলেন, তাহলে তা বাস্তবে কী ?
আরও পড়ুন:
- বাণিজ্য সম্মেলন থেকে তাজপুর বন্দরের জন্য নতুন টেন্ডারের ইঙ্গিত, তবে কি আদানিদের সঙ্গে চুক্তি বাদ!
- আদানি ও মেহুল বিজেপির সবচেয়ে ভালো বন্ধু, কটাক্ষ মমতার
- শিল্প সম্মেলন নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করবে রাজ্য, বিরোধীদের অভিযোগের জবাব দিয়ে জানালেন মমতা