কলকাতা, 2 জানুয়ারি: করোনা আতঙ্কের মধ্যে রাজ্যের ডেঙ্গিতে মৃত্যু। দেগঙ্গার খোড়দার বাসিন্দা বছর তেতাল্লিশের পারিদা বিবি বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি হন 30 তারিখ। পরের দিন রাতে মৃত্যু হয় ডেঙ্গি আক্রান্ত ওই মহিলার। স্বাস্থ্য ভবনের দাবি, হাসপাতালে দেরিতে আনার কারণে এই মৃত্যু। তবে বর্তমানে রাজ্যে ডেঙ্গিগ্রাফ অনেকটাই নীচে বলেই জানাচ্ছে স্বাস্থ্য ভবন।
এই বিষয়ে চিকিৎসক দেবাশিস চট্টোপাধ্যায় বলেন, "জ্বর হলে প্রথম দু'দিন প্যারাসিটামল খাওয়া যেতে পারে। কিন্তু জ্বর তিনদিন থাকলেই রক্ত পরীক্ষার পরামর্শ আমরা দিয়ে থাকি। এবার রক্তে যদি পিসিজি পরিমাণ বাড়ে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে আসার প্রয়োজন। কারণ রোগীকে দেরিতে ভর্তি করলে ওটাই মৃত্যুর আসল কারণ হয়। প্লেটরেট বাইরে থেকেও দেওয়া যেতে পারে। ফলে প্রথম নজর রাখতে হবে পিসিজির দিকে। কিন্তু মানুষের মনে এখন যে সংশয় তৈরি হয়েছে তাই জন্য আমরা বলছি জ্বর হওয়ার প্রথম দিন থেকেই অক্সিজেন স্যাচুরেশনটা মেনে চলার। এর মান কমতে থাকলে তিনদিন পরেই করোনা টেস্টও করা দরকার।"
অন্যদিকে এই মুহূর্তে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন প্রায় তিনজন করোনা আক্রান্ত রোগী। রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। গত 24 ঘন্টায় নতুন করে 3 জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সবমিলিয়ে বর্তমানে রাজ্যের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা 73 জন। তবে এই মুহূর্তে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবি স্বাস্থ্য ভবনের। তাই এই মুহূর্তেই কোনও গাইডলাইন জারি করার প্রয়োজনও নেই বলেই জানানো হয়েছে স্বাস্থ্য ভবনের তরফে। যদিও করোনা নিয়ন্ত্রণের জন্য যে সমস্ত নিয়ম আগে মানা হতো সেইগুলো মেনে চলার কথাই বলছেন স্বাস্থ্য সচিব।