কলকাতা, 26 জুন:নির্বাচনের দফা বাড়ানোর পাশাপাশি কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে আইএসএফ প্রার্থীদের নাম মুছে যাওয়ার ঘটনায় আবেদন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। তাঁর অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরও 82 জন আইএসএফ প্রার্থীদের নাম রাজ্য নির্বাচন কমিশন সরিয়ে দিয়েছে ৷ একই সঙ্গে, পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী নিরাপত্তা দেওয়া না গেলে ভোটের দফা বাড়ানোর দাবিও জানান নওশাদ।
ভোটে নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ ৷ এরপরই দেখা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের জন্য মোট 822 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছে কমিশন ৷ কিন্তু কেন্দ্রের তরফে আপাতত সেই সংখ্যক বাহিনী মঞ্জুর করা হয়নি ৷ আর তারপরই পঞ্চায়েত ভোটের দফা বাড়ানোর জন্য সরব হয়েছে বিরোধীরা ৷ এই মর্মে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও দায়ের হয়েছে। আগামিকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জরুরি ভিত্তিতে শুনানির জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে ৷
বিরোধী রাজনৈতিক দল বিজেপির তরফেও এই দাবি বেশ কিছুদিন ধরে শোনা যাচ্ছে। যদিও তাদের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়নি। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তব্য, কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা পর্যাপ্ত না হলে, শাসকদল কারচুপি করার সুযোগ পাবে। সেক্ষেত্রে নির্বাচনে দফা বাড়িয়ে দিলে নির্বাচন অবাধ হতে পারে বলেও জানাচ্ছে তারা। অন্যদিকে, ভাঙড়ের 82 জন আইএসএফ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল সংক্রান্ত মামলায় কীভাবে প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র বাতিল হল, তা 28 জুনের মধ্যে খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।