কলকাতা, 13 ডিসেম্বর : গড়িয়াহাটে বৃদ্ধা খুনের কিনারা করল পুলিশ । ওই বৃদ্ধাকে খুনের অভিযোগে তাঁর বড় বউমা ও তার প্রেমিক এবং নাতনিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ । বউমা ডিম্পল জুন্ড ও নাতনি কণিকাকে কলকাতা থেকে এবং ডিম্পলের প্রেমিক সৌরভ পুরীকে পঞ্জাব থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । মূলত সম্পত্তির কারণেই খুন বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান ।
গতকাল সকাল সাড়ে 11 টা নাগাদ 2 বি গড়চা ফার্স্ট লেনের বাসিন্দা উর্মিলা কুমারীকে গলাকাটা অবস্থায় নিজের ঘরে বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন বাড়ির পরিচারিকা ৷ বৃদ্ধার পেটেও আঘাত ছিল ৷ পরিচারিকা ডাকেন বৃদ্ধার প্রতিবেশী দেবলীনা দাসকে । তিনি খবর দেন গড়িয়াহাট থানায় ।
আরও পড়ুন : লন্ডভন্ড ঘর, বিছানায় পড়ে বৃদ্ধার গলা কাটা দেহ
ছোটো ছেলে এবং বউমার সঙ্গে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন বৃদ্ধা । বড় ছেলে মারা গেছেন । তাঁর স্ত্রী এবং ছেলে-মেয়েরা থাকে রিচি রোডে । মেজো ছেলে পরিবার নিয়ে থাকেন শিলিগুড়িতে । উর্মিলাদেবীর পরিবারের অনেকে পঞ্জাবে থাকেন । তাই তিনি মাঝেমধ্যেই পঞ্জাবে গিয়ে থাকতেন । মাসখানেক আগেই তিনি পঞ্জাব থেকে ফিরেছিলেন । বুধবার ছোটো ছেলে পরিবার নিয়ে শিলিগুড়িতে যান । 11 ডিসেম্বর থেকে ওই বৃদ্ধা গড়চার বাড়িতে একাই ছিলেন ।
আরও পড়ুন : গড়চায় প্রবল রাগের বশে বৃদ্ধাকে খুন, ধারণা পুলিশের
বৃদ্ধার দেহ যে ঘরে পাওয়া যায় সেটি লন্ডভন্ড অবস্থায় ছিল । আলমারি থেকে জামা-কাপড় সব টেনে বের করে খাটে রাখা হয়েছিল। যা দেখে প্রাথমিকভাবে মনে হতেই পারে লুটের উদ্দেশ্যে এই খুন । তবে কড়েয়ায় সম্প্রতি বৃদ্ধ খুনের মতোই এক্ষেত্রে তদন্তকারীদের চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে প্রথম থেকে মনে করছিল পুলিশ । কারণ বৃদ্ধার গায়ের কোনও গয়না খোয়া যায়নি । আলমারিতে ছিল 200 টাকার নোটের একটি বান্ডিল । আততায়ীরা সেটাও নেয়নি । খুনের প্রকৃতি থেকে বোঝা যায় প্রবল আক্রোশে খুন করা হয় ওই বৃদ্ধাকে । ময়নাতদন্তে জানা যায়, খুনের সময় রাত 12টা 30 মিনিট থেকে 2টা 30 মিনিটের মধ্যে । ওই চত্বরের সব CCTV ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ আজ বৃদ্ধার বড় বউমা এবং নাতনিকে গ্রেপ্তার করা হয় । 11 তারিখ রাতে বৃদ্ধার ওই নাতনি তাঁকে খাবার দিতে এসেছিলেন বলে জানায় প্রতিবেশীরা । সেসময় নাতনি দেবলীনা দাসের পরিবারের এক সদস্যর সঙ্গে কথাও বলেছিলেন ।