কলকাতা, 10 জুন : অবশেষে শনিবার খুলতে চলেছে দক্ষিণেশ্বর মন্দির। আজ তার ট্রায়াল হয়ে গেল। মন্দির খুললেও সুরক্ষার জন্য একগুচ্ছ নিয়ম তৈরি করেছে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের অছি পরিষদ। পুণ্যার্থীদেরও মানতে হবে বেশ কিছু নিয়ম।
যাঁরা নিজেদের গাড়িতে দক্ষিণেশ্বর-মন্দিরে আসবেন পার্কিংয়ের পর তাঁদের একপ্রস্থ থার্মাল স্ক্রিনিং হবে । মন্দিরের প্রবেশ পথে আরও একদফা থার্মাল স্ক্রিনিং হবে। যাঁরা স্কাইওয়াক দিয়ে আসবেন, তাঁদের স্কাইওয়াকেই হবে থার্মাল টেস্ট। এর পাশাপাশি মূল মন্দিরে ঢোকার আগে বসানো হয়েছে জীবাণুনাশক গেট।
এবিষয়ে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের অছি ও সম্পাদক, DD এস্টেট কুশল চৌধুরি বলেন, "এখন থেকে মন্দির খোলার নিয়মে কিছু পরিবর্তন আসছে। শনিবার থেকে প্রতিদিন সকাল 7 টা থেকে 10 টা পর্যন্ত এবং বিকেলে সাড়ে তিনটে থেকে ছ'টা পর্যন্ত মন্দির খোলা থাকবে। মূল মন্দির বন্ধ হওয়ার কুড়ি মিনিটের মধ্যে মন্দিরের সিংহদুয়ারও বন্ধ করে দেওয়া হবে। তারপর মন্দির প্রাঙ্গণে প্রবেশ নিষিদ্ধ । মন্দিরে শুধুমাত্র পুজো দেওয়ার প্রসাদ নিয়ে যাওয়া যাবে। ফুল,ধুপ,সিঁদুর নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না।"
শনিবার খুলছে দক্ষিণেশ্বর মন্দির - corona virus news
মন্দির খুললেও থাকছে একাধিক নিয়ম । পার্কিং চত্বরেই থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে । মন্দিরের মধ্য়ে ফুল,ধুপ,সিঁদুর নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না।
কুশল চৌধুরি আরও বলেন, "মন্দিরে ঢোকার আগে যে থার্মাল স্ক্রিনিং হবে । তাতে যদি কারও শরীরের তাপমাত্রা 98.6 ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি থাকে, তবে তাঁকে হাতজোড় করে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হবে। কারণ এতে সংক্রমণের আশঙ্কা আতঙ্ক তৈরি হবে । মাস্ক না পরে মন্দিরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। থার্মাল স্ক্রিনিং করানোর পর মোবাইল ও অন্যান্য দ্রব্য সামগ্রী সুরক্ষা কেন্দ্রে রাখা হবে। দেবালয়, অন্যান্য মন্দির কিংবা শ্রীরামকৃষ্ণদেবের শয়নকক্ষে প্রবেশ এবং অবস্থান করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মন্দিরের ভিতর সবাই PPE পরে থাকবেন। মনে রাখতে হবে, দর্শণার্থীদের জন্য যদি মন্দিরের কারও সংক্রমণ ধরা পড়ে, তবে দেবালয় কনটেইনমেন্ট জ়োনে চলে যাবে। তাই সকলের সাহায্য প্রার্থনা করছি।"
দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের সুরক্ষা ব্যবস্থায় থাকছে পুলিশও। এ প্রসঙ্গে ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা বলেন, "শনিবার এবং রবিবার হয়তো মন্দিরে বেশি সংখ্যায় ভক্তরা আসতে চাইবেন। এর আগে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের ভিতরের ভিড়ের অভিজ্ঞতা আছে ব্যারাকপুর পুলিশের। আশা করছি, সেই ভিড় আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারব। তবে সাধারণ মানুষের জন্য বলব অতি উৎসাহী হওয়ার প্রয়োজন নেই। মনে রাখতে হবে সামাজিক সুরক্ষা বিধি মেনে চলা এখন প্রত্যেকের কর্তব্য। মন্দিরের সুরক্ষায় ব্যারাকপুর পুলিশ কাজ করবে।"