কলকাতা, 11 মে: ঘূর্ণিঝড় মোকা এই মুহূর্তে অবস্থান করছে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে । দক্ষিণ দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় যেখানে অবস্থান করছে তা পোর্টব্লেয়ার থেকে প্রায় 500 কিলোমিটার এবং বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে 1160 কিলোমিটার দূরে রয়েছে । অন্য়দিকে মায়ানমার থেকে মোকার অবস্থানের দূরত্ব 1080 কিলোমিটার। উত্তর উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোতে থাকা বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড়টি 11 তারিখ অর্থাৎ, বৃহস্পতিবার রাতেই আরও শক্তি সঞ্চয় করবে।
আগামিকাল থেকে মোকার গতিপথেও পরিবর্তন আসবে এবং তা উত্তর উত্তর পূর্ব দিকে এগিয়ে যাবে । শুক্রবার সন্ধে নাগাদ আরও শক্তি বাড়িয়ে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে 'মোকা'। তখন এই ঘূর্ণিঝড় মধ্য-বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করবে । 13 তারিখ বিকেলে সর্বোচ্চ শক্তি বৃদ্ধি হতে পারে 'মোকা'র ৷ এমনই পূর্বাভাস মিলেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে । 14 তারিখ দুপুরে বাংলাদেশের কক্সবাজার এবং মায়ানমারের কাক ভিউয়ের মধ্যে দিয়েই যাবে মোকা। এই সময় ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় 140 থেকে 150 কিলোমিটার ৷
ইতিমধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের পরোক্ষ প্রভাবে রাজ্যের গরম বাড়তে শুরু করেছে । ফের তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বঙ্গে । আগামিকাল পর্যন্ত রাজ্যে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি চলবে । তবে গরম নিয়ে এখনই রাজ্যে আলাদা করে কোনও সতর্কবার্তা জারি হয়নি ৷ শুধুমাত্র মৎস্যজীবীদের সর্তকতা দেওয়া হয়েছে । 12-14 তারিখ মৎস্যজীবীদের সমুদ্র যেতে নিষেধ করা হয়েছে । যে সমস্ত মৎস্যজীবীরা ইতিমধ্যে সমুদ্রে আছেন, তাদের বৃহস্পতিবার সন্ধের মধ্যে ফিরে আসতে বলা হয়েছে ।
আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ইতিমধ্যে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে ৷ সঙ্গে বইছে ঝড়ো হাওয়া। আগামিকাল থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হবে সেখানে। আগামী দু'দিন দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলা পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম এবং বীরভূমে তাপপ্রবাহের সর্তকতা থাকছে । দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলোতেও বাড়বে তাপমাত্রা। গরম ও আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। 13 তারিখ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতেও ঝড়বৃষ্টির ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন :কীভাবে হয় নামকরণ ? মোকার পরবর্তী ঘূর্ণিঝড়ের নাম জানুন