কলকাতা, 22 জুলাই: মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের পদত্যাগ দাবি করল সিপিএমের পলিটব্যুরো ৷ উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্যটিতে দু'জন আদিবাসী মহিলাকে বিবস্ত্র করে হাঁটানো এবং গণধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল দেশ ৷ এই অবস্থায় শুক্রবার বীরেন সিংয়ের ইস্তফা চেয়েছে দলের পলিটব্যুরো ৷
পলিটব্যুরোর অভিযোগ, "দু’জন আদিবাসী মহিলাকে বিবস্ত্র করে হাঁটানো, গণধর্ষণ এবং বাঁচাতে আসা পরিবারের দুই সদস্যকে খুনের ভয়ঙ্কর নৃশংসতা সারা দেশকে বিধ্বস্ত করে দিয়েছে ৷ এই বর্বরতায় যুক্ত অপরাধীদের সুরক্ষা দিচ্ছে মণিপুরের বিজেপি সরকার ৷ কারণ, ঘটনার দু’সপ্তাহের মধ্যে আক্রান্তদের পরিবারগুলি থানায় এফআইআর দায়ের করলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি ।" আর ঠিক এই কারণেই মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়েছে সিপিএম।
পাশাপাশি মণিপুরের হিংসার ঘটনার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেয় পলিটব্যুরো ৷ তাদের বক্তব্য, গত আড়াই মাস ধরে মণিপুর জ্বলছে ৷ তা সত্ত্বেও বিজেপির শীর্ষ নেতারা এবং কেন্দ্রীয় সরকার মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী ও সেই সরকারের সমর্থনে কথা বলে যাচ্ছে ৷ মণিপুরে হিংসার শুরু মে মাসের 3 তারিখ থেকে ৷ মেইতি ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের জেরে এখনও অশান্ত রাজ্যটি ৷ রাজ্যটির এই পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একটা দীর্ঘ সময় কোনও কথা বলেননি ৷ তবে, 78 দিন পর 20 জুলাই প্রধানমন্ত্রী সংসদের বাইরে প্রথম মণিপুর নিয়ে তাঁর মতামত জানান ৷ ওই দিন থেকে সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হয় ৷ সেদিন প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, অপরাধীদের কঠিন থেকে কঠিনতম সাজা দেওয়া হবে ৷
আরও পড়ুন: মণিপুরে 2 মহিলাকে লাঞ্ছনার ঘটনায় ধৃত 4 জনের 11 দিনের পুলিশ হেফাজত
ডিওয়াইএফআই-এর সাধারণ সম্পাদক হিমগ্নরাজ ভট্টাচার্য বলেন, "মণিপুর জ্বলছে ! প্রধানমন্ত্রীর নীরবতার নিন্দা করা উচিত! মণিপুর এখন আশি দিনেরও বেশি সময় ধরে সহিংসতা ও সংঘর্ষের সাক্ষী হচ্ছে ৷" তিনি জানান, রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যে শান্তি নিশ্চিত করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে ৷ কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকার বিরুদ্ধে ডিওয়াইএফআই সারা দেশে প্রতিবাদ সংগঠিত করবে ৷ মণিপুরে শান্তি ফেরাতে দেশের যুবকদের সর্বাধিক অংশগ্রহণও নিশ্চিত করতে চায় ডিওয়াইএফআই ৷