কলকাতা, 16 মে : বাসের ভাড়া বাড়ানো নিয়ে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করলেন CPI(M) বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য । তিনি বলেন, "যেভাবে রাজ্যে বেসরকারি বাসের ভাড়া বৃদ্ধি করা হল, তা দেখে মনে হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর শ্রমিকদের জন্য কথা বলবেন না । তিনি মালিকপক্ষের লোক ।" এর পাশাপাশি তাঁর বিস্ফোরক মন্তব্য, "প্রাক্তন পরিবহনমন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তীর মৃত্যুর জন্য সেদিন দায়ি ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত বাস মালিকরা ।"
লকডাউনের মধ্যেই রাজ্যে চালু হয়েছে সরকারি ও বেসরকারি বাস পরিষেবা । তবে জমায়েত না করে, সামাজিক দূরত্ব বাজায় রেখে বাস চালাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে । অন্যদিকে, বাসমালিকদের পক্ষ থেকে সরকারি অনুমতি নিয়ে বাড়ানো হয়েছে বাসের ভাড়া । এনিয়ে CPI(M) বিধায়ক বলেন, " দেখা যাচ্ছে রাজ্যের একটি সরকারি বাস 60 জন যাত্রী নিয়ে চলল গন্তব্যে । কোথায় দৈহিক দূরত্ব ! ঘণ্টায় একটিমাত্র বাস দিল পরে, দৈহিক দূরত্ব বজায় রেখে কি বাসযাত্রীদের বাসে ওঠা সম্ভব ? "
মুখ্যমন্ত্রী বাসমালিক পক্ষের লোক : তন্ময় ভট্টাচার্য
লকডাউনের মধ্যেই রাজ্যে চালু হয়েছে সরকারি এবং বেসরকারি বাস পরিষেবা । বাসমালিকদের পক্ষ থেকে সরকারি অনুমতি নিয়ে একলাফে বাড়ানো হয়েছে বাসের ভাড়াও। এই নিয়ে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করলেন CPI(M) বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য।
প্রাক্তন পরিবহনমন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তীর প্রসঙ্গ টেনে এনে তন্ময় ভট্টাচার্য জানান, " সেদিন বাস ভাড়া এক টাকা বাড়াতে চেয়েছিলেন মালিকরা । সুভাষ চক্রবর্তী মালিকদের সেই দাবি মানতে চাননি । সেদিন নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে মালিকদের সঙ্গে সুভাষ চক্রবর্তী বৈঠক করেছিলেন । সুভাষ চক্রবর্তীকে আক্রমণ করেছিলেন বাস মালিকরা । তাঁকে শারীরিকভাবে হেনস্থাও করা হয়েছিল । পরে দেখা গেল তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত বাস মালিকরা সুভাষ চক্রবর্তীকে শারীরিকভাবে হেনস্থা করেছেন । এমনিতেই ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন সুভাষ চক্রবর্তী । তার উপর শারীরিক হেনস্থায় ক্রমশ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন তিনি । তাঁকে সেদিন পরোক্ষে খুন করেছিলেন তৃণমূল আশ্রিত বাস মালিকরা ।"
তন্ময় ভট্টাচার্য বলেন, " বেসরকারি বাসের ভাড়া 4 কিলোমিটারে 25 টাকা করা হয়েছে । পর্যায়ক্রমে সেই ভাড়া 5,7,10 টাকা করে বাড়বে । গরিব মানুষ ভয়ঙ্কর সমস্যায় পড়বেন । সমস্যায় পড়বেন মধ্যবিত্ত মানুষও । মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, বাস ভাড়া বাড়ার পর যার পোষাবে সে চড়বে, যার পোসাবে না সে চড়বে না । শুধু মুখ্যমন্ত্রী নবান্ন থেকে একবার বলুন, কৃষকের ফসলের দাম ঠিক করবেন কৃষক । যার পোষাবে সে কিনবে, যার পোষাবে না সে কিনবে না । অসংগঠিত শ্রমিকদের শ্রমের মূল্য ঠিক করবেন শ্রমিকরাই। রাজ্যের বিভিন্ন পৌরসভার অস্থায়ী কর্মীরা নিজেদের শ্রমের মূল্য নিজেরাই ঠিক করবেন । আসলে মুখ্যমন্ত্রী মালিকদের জন্য ভাবেন । শ্রমিকদের জন্য ভাবেন না। মালিকপক্ষের লোক মমতা। " বিধায়কের আশঙ্কা, খাদ্যসচিব, পৌরসচিব, স্বাস্থ্যসচিবের পর এবার পরিবহন সচিবও বদলি হতে পারেন।