কলকাতা, 14 অগস্ট : অবসরের বয়সসীমা বেধে দেওয়ার পরে নতুন রক্ত সঞ্চারের দাবি সিপিএমের অন্দরে জোরালো হয়েছে । একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিপর্যয়ের পরে তরুণদের দায়িত্ব দেওয়ার দাবি জোরালো হয়েছে । নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারীর দ্বৈরথে হারিয়ে যাওয়ার বদলে তৃতীয় মুখ হিসেবে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছিলেন মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায় । তাঁর জনপ্রিয়তার ক্রমশ বেড়েছে বই কমেনি । যা দেখে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু পর্যন্ত বলেছিলেন এই ধরনের জনপ্রিয় হয়ে ওঠা অতীতে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ছাড়া কারও মধ্যে দেখেননি । অন্যদিকে, নির্বাচনে আসন না পেলেও করোনার কঠিন পরিস্থিতিতে রেড ভলেন্টিয়ার্সের বিভিন্ন কর্মসূচি, শ্রমজীবী ক্যান্টিন পরিচালনা, কমিউনিটি কিচেন তৈরি করে মানুষের পাশে দাঁড়ানো বাহবা পেয়েছে । কমিউনিস্ট ভাবধারা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে যুব সমাজ আগ্রহ দেখিয়েছে । সেক্ষেত্রে অনেকদিন থেকেই তরুণদের উপর ভরসার দাবি জোরালো হচ্ছে । সূত্রের খবর, এবার তরুণদের সামনের সারিতে রাখতে পারে বামফ্রন্ট ।
পার্টিকে ঘুরে দাঁড় কারাতে গেলে বৃদ্ধতন্ত্র নয় । তরুণ ব্রিগেড-ই ভরসা । অনেকদিন ধরেই এই দাবি আলিমুদ্দিনের অন্দরে উঠতে শুরু করেছে । দুই দিনের রাজ্য কমিটির বৈঠকে এই দাবি জোরালো হয়েছে । প্রাথমিকভাবে, বিধানসভা নির্বাচনে বালি কেন্দ্রে প্রার্থী হওয়া দীপশিতা ধর,এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য, প্রেসিডেন্ট প্রতিকুর রহমান, মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, সায়নদীপ মিত্রকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে নিয়ে আসার ভাবনা চিন্তা চলছে । কলকাতা জেলা কমিটির তরুণ মুখ কৌস্তুভ চট্টোপাধ্যায়কেও নিয়ে আসার চেষ্টা চলছে । ঐশী ঘোষ আলোচনায় থাকলেও তিনি দিল্লি ফ্রন্টের । তরুণ প্রজন্মকে তুলে নিয়ে আসার ব্যাপারে সিপিএম রাজ্য সম্পাদকের মত রয়েছে । তবে বর্ধমান এবং হাওড়া জেলা নেতৃত্ব এই তরুণদের তুলে আনার বিপক্ষে মত দিয়েছে বলে খবর । তাদের যুক্তি, তরুণদের প্রার্থী করে ধস আটকানো যায়নি । পাল্টা হিসেবে ভোট বৃদ্ধির যুক্তি বিরোধীদের সামনে তুলে ধরা হয়েছে ।