কলকাতা , 31 অক্টোবর : যাঁদের ক্ষেত্রে কোরোনা টেস্টের প্রয়োজন রয়েছে , তাঁদের সকলের টেস্ট করানো হচ্ছে না । তার উপর টেস্টের রিপোর্ট আসতেও বহু ক্ষেত্রে তিন থেকে চার দিন সময় লেগে যাচ্ছে । এভাবে রোগ নির্ণয় না হওয়া এবং রোগ নির্ণয় হতে দেরি হওয়ার কারণে বহু রোগীর মাধ্যমে আরও বেশি সংক্রমণ হচ্ছে । শুধুমাত্র তাই নয়, এর ফলে বিভিন্ন রোগীর ক্ষেত্রে যেমন সংক্রমণ জটিল হয়ে পড়ছে , তেমনই বিভিন্ন ক্ষেত্রে রোগীর মৃত্যুও হচ্ছে । এই ধরনের পরিস্থিতি দূর করতে কোরোনা টেস্টের সংখ্যা অন্তত দুই গুণ বাড়ানোর পাশাপাশি 24 ঘণ্টার মধ্যে টেস্টের রিপোর্ট দেওয়ার দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিল রাজ্যের সরকারি চিকিৎসকের একটি সংগঠন ।
সার্ভিস ডক্টরস ফোরাম (SDF)-এর চিঠিতে জানানো হয়েছে , দুর্গাপুজোর আগে এবং দুর্গাপুজোর সময় যেভাবে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে বিভিন্ন জায়গায় জনসমাগম হতে দেখা গিয়েছে এবং আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় যেভাবে জ্বর, সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা নিয়ে অনেক বেশি সংখ্যক মানুষ ভুগছেন, এসব মিলিয়ে কোরোনা পরিস্থিতি আরও ভয়ংকর হতে চলেছে । এদিকে নিয়ম অনুসারে যাঁদের টেস্ট হওয়া উচিত , তাঁদের সকলের টেস্ট করানো হচ্ছে না । প্রতিদিন টেস্টের সংখ্যা বেঁধে দেওয়ার কারণেই এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে । দুর্গাপুজোর আগে এবং পরে যত জনের টেস্ট হয়েছে, বাস্তবে তার থেকে অনেক বেশি টেস্টের প্রয়োজন ছিল । অথচ, প্রয়োজনীয় টেস্ট না হওয়ার ফলে বহু কোরোনা রোগী সমাজের মধ্যে থেকে গিয়ে এই রোগ আরও বেশি ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করছেন । অবিলম্বে প্রতিদিন টেস্টের সংখ্যা অন্ততপক্ষে দ্বিগুণ করা প্রয়োজন । যাতে সবাই কোরোনা পরীক্ষা করার সুযোগ পান ।
মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো ওই চিঠিতে SDF-এর সভাপতি চিকিৎসক প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সাধারণ সম্পাদক চিকিৎসক সজল বিশ্বাস যৌথভাবে জানিয়েছেন , কোরোনা টেস্টের রিপোর্ট পেতে বহু ক্ষেত্রেই তিন থেকে চার দিন সময় লাগছে । এর ফলেও বহু রোগীর মাধ্যমে রোগ ছড়িয়ে পড়ছে এবং দেরিতে চিকিৎসা শুরু হওয়ার কারণে অনেকেই বিভিন্ন জটিলতার সম্মুখীন হচ্ছেন । অনেকে অকালে প্রাণ-ও হারাচ্ছেন । এই ধরনের সমস্যা দূর করতে আরও টেস্টিং সেন্টার চালু এবং 24 ঘণ্টার মধ্যে টেস্টের রিপোর্ট দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি ।