কলকাতা, 13 এপ্রিল : কোরোনা সংক্রমণের জেরে দীর্ঘদিন ধরে কলকাতা হাইকোর্ট সহ রাজ্যের সমস্ত আদালতের কাজকর্ম অনিয়মিত হয়ে পড়েছে। ফলে অর্থনৈতিক সমস্যায় পড়েছেন একাধিক আইনজীবী । ইতিমধ্যে সেই সমস্যার কথা হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনকে জানিয়েছেন আইনজীবীরা । সেই পরিপ্রেক্ষিতে আজ কলকাতা হাইকোর্ট কর্তৃপক্ষ এটিকে একটি জনস্বার্থ মামলা হিসেবে বিবেচনা করে । আগামী 16 এপ্রিল মামলাটি শুনবেন বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ।
অর্থনৈতিক সংকটে আইনজীবীরা, হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা - pil in high court
15 মার্চের পর থেকে কলকাতা হাইকোর্ট সহ রাজ্যের সমস্ত নিম্ন আদালতের কাজকর্ম অনিয়মিত হয়ে পড়েছে। ফলে রুজি রোজগার হারিয়েছেন বহু আইনজীবী ।
15 মার্চ থেকেই সুপ্রিম কোর্টে শুধুমাত্র জরুরিভিত্তিক মামলাগুলির শুনানি চলছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো 16 মার্চ থেকে কলকাতা হাইকোর্ট সহ রাজ্যের সমস্ত আদালতে শুধুমাত্র গুরুত্বপূর্ণ এবং জরুরি মামলারই শুনানি করার কথা জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানান কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনেরাল। তারপর একাধিকবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সেই সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। সেই থেকেই কলকাতা হাইকোর্টের কাজকর্ম অনিয়মিতভাবে চলছে। এখন শুধুমাত্র জরুরি মামলাগুলিরই শুনানি চলছে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে। অন্যদিকে, রাজ্যের নিম্ন আদালতগুলির কাজকর্ম সম্পূর্ণ বন্ধ।
আইনজীবীদের একাংশের তরফে জানা গেছে, হাইকোর্ট সহ রাজ্যের অন্যান্য নিম্ন আদালতে কর্মরত হাজার হাজার আইনজীবী রয়েছেন, যাঁরা তেমনভাবে নিজেদের এখনও প্রতিষ্ঠা করতে পারেননি। দীর্ঘদিন আদালতের কাজকর্ম বন্ধ থাকায় তাঁদের রোজগার এই মুহূর্তে পুরোপুরি বন্ধ। তাই সংসার চালাতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা । এরপর অর্থনৈতিক সাহায্যের দাবি জানিয়ে হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তারা। পরে হাইকোর্ট বার অ্যসোসিয়েশনের তরফে একটি লিখিত চিঠি পাঠানো হয় কলকাতা হাইকোর্ট কর্তৃপক্ষকে। তার প্রেক্ষিতেই আজ জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় ।