কলকাতা, 20 এপ্রিল : প্রতিদিনের হাজারো কাজের ব্যস্ততায় ফিরে দেখেননি নিজের এক টুকরো বাগানের দিকে । ছাদের উপরের ফুল গাছের টবগুলি শুকিয়ে থাকলেও, নিয়ম করে জল দেওয়া হয়নি । সূর্যের পর্যাপ্ত আলোও লাগেনি আপনার শরীরে, নিত্যদিনের ব্যস্ততায় । দীর্ঘ লকডাউনে বাড়ির চৌহদ্দির মধ্যে যখন আছেন, যে কাজগুলি করা হয়নি এতদিন, সেগুলি করুন । মনের আশ মিটিয়ে বাগান করুন । সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে ফুল বাগানে বা ছাদের উপর ব্যায়াম করুন । একঘেঁয়ে বদ্ধ জীবনে যদি কোনওভাবে মানসিক অবসাদ আসে, তাহলে এইসব করলে সেসব থেকে মুক্তি পাবেনই । সূর্যের আলো এবং খোলা আকাশ অবসাদ থেকে মুক্তি দেবে । এমনই বলছেন পরিবেশ প্রযুক্তিবিদ সোমেন্দ্রমোহন ঘোষ ।
কোরোনা নিয়ে মানসিক চিন্তা দিন দিন বাড়ছে । কোরোনার প্রকোপ আছে । আরও কিছুদিন থাকবে । বাড়ি থেকে কাজ, বাইরে না বেরোতে পারা, মানুষজনের সঙ্গে কথোপকথন না হওয়া তৈরি করতে পারে মানসিক অবসাদ । যা প্রভাব ফেলতে পারে ব্যক্তিগত জীবনে । বিশেষ করে স্বনির্ভর গোষ্ঠীতে যাঁরা কাজ করেন । যাঁদের দিন আনা দিন খাওয়া কাজ । অথবা যাঁরা ছোটো ব্যবসায় । কী করবেন আগামী দিনে, কীভাবে জুটবে খাবার সেসব নিয়ে মানসিক চিন্তার শেষ নেই । প্রত্যেকেই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন । এই অবস্থায় কোরোনার প্রকোপ কাটলেও সবকিছু স্বাভাবিক হতে কতটা সময় লাগবে সেই নিয়েও চিন্তা কম নয় ।
কোরোনা নিয়ে তথ্য জানার আগ্রহে সারাক্ষণ মানুষ তাকিয়ে টিভির পর্দায় । সংবাদের চ্যানেল ঘুরিয়ে দেখছেন, কী হবে আগামীদিনে কেউ জানেন না । এই পরিস্থিতিতে সকলের মনে একটা চাপা ভয় কাজ করে । বিশ্বে কোরোনার জেরে মৃত্যু মিছিল কারোরই তো অজানা নয় । তাই বেশিরভাগ মানুষই আতঙ্কিত, চিন্তিত । আর এর জেরে খাবারের অভ্যেসে বদল এসেছে । বদল এসেছে ঘুমের সময়তেও । মানসিক ভয় এবং চিন্তা জটিল সব অসুখ তৈরি করতে পারে । বলছেন পরিবেশ প্রযুক্তিবিদ সোমেন্দ্রমোহন ঘোষ ।