পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

বেলেঘাটা ID -র আবাসনে সংক্রমিত আরও 7, কোরোনা আক্রান্ত কলকাতা মেডিকেলের 1 কর্মীও

বেলেঘাটা ID হাসপাতালের কর্মীদের আবাসনে আরও সাত জনের শরীরে মিলল কোরোনা ভাইরাসের হদিস । এই সাত জনই হাসপাতালের কর্মীদের পরিবারের সদস্য । অন্যদিকে কোরোনায় আক্রান্ত কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এক কর্মীও ।

Beleghata ID & BG Hospital
বেলেঘাটা আই ডি ও বি জি হাসপাতাল

By

Published : May 29, 2020, 9:04 AM IST

কলকাতা, 29 মে : কোরোনা আগেই থাবা বসিয়েছে বেলেঘাটা ID হাসপাতালের কর্মীদের আবাসনে । গতকাল এই আবাসনের আরও সাত জনের শরীরে মিলল কোরোনা ভাইরাসের হদিস । এই সাত জনই হাসপাতালের কর্মীদের পরিবারের সদস্য । অন্যদিকে কোরোনায় আক্রান্ত কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এক কর্মীও ।

বেলেঘাটা ID-র চতুর্থ শ্রেণির যে দু'জন কর্মী কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তাঁরা এই আবাসনেই থাকেন । পরে তাঁদের দু'জনেরই কন্যা সন্তানের রিপোর্টে কোরোনা পজ়িটিভ আসে । গতকাল বেলেঘাটা হাসপাতালের কর্মীদের আবাসনে আরও সাত জনের রিপোর্টে কোরোনা পজ়িটিভ আসে । তাঁরাও ওই দুই কোরোনা আক্রান্ত কর্মীর পরিবারের সদস্য । বেলেঘাটা হাসপাতালে ওই সাত জনেরই চিকিৎসা চলছে । তাঁদের প্রত্যেকের শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল । পাশাপাশি বেলেঘাটা হাসপাতালের কর্মীদের ওই আবাসনকে কনটেনমেন্ট জ়োনের মধ্যে রয়েছে ।

অন্যদিকে কোরোনায় আক্রান্ত কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের CCU-তে কর্মরত চতুর্থ শ্রেণির এক মহিলা কর্মী । তিনি হালিশহরের বাসিন্দা । লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে তিনি হাসপাতালে থেকেই ডিউটি করতেন । সংশ্লিষ্ট সংস্থার মাধ্যমে অস্থায়ী কর্মী হিসেবে তিনি কলকাতা মেডিকেলে নিযুক্ত হন । কলকাতা মেডিকেলের কর্মীদের আবাসনেও এক আগে কোরোনা আক্রান্তের হদিস মিলেছে । ফলে এখানকার আবাসনও কনটেনমেন্ট জ়োনে রয়েছে । পাশাপাশি কলকাতা মেডিকেলে কোরোনা নির্ণয়ের রিপোর্ট দেরিতে আসার অভিযোগও উঠেছে । কোরোনা আক্রান্ত সন্দেহে যাঁরা কলকাতা মেডিকেলে ভরতি রয়েছে তাঁদের পরিজনদের অভিযোগ, এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও রিপোর্ট মিলছে না । বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ।

কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল

COVID-19 নির্ণয়ের ক্ষেত্রে সোয়াবের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট এ রাজ‍্যে যে এখন অনেক দেরিতে পাওয়া যাচ্ছে সে অভিযোগ সরকারি চিকিৎসকদের বিভিন্ন সংগঠনও করছে । সরকারি চিকিৎসকদের একটি সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিস ডক্টরস, ওয়েস্ট বেঙ্গলের সাধারণ সম্পাদক, চিকিৎসক মানস গুমটা বলেন, "টেস্টের ক্ষেত্রে অনেক ব্যাকলগ রয়ে গেছে । সাত-আট দিন আগে সংগৃহীত নমুনার রিপোর্ট এখন আসছে ।"

রাজ্যের সরকারি চিকিৎসকদের অন্য একটি সংগঠন সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক, চিকিৎসক সজল বিশ্বাস বলেন, "COVID-19 নির্ণয়ের জন্য রোগীর সোয়াবের নমুনা পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা এ রাজ‍্যে আশানুরূপ না বাড়ার ফলে পরীক্ষার রিপোর্ট আসতে দেরি হচ্ছে । কোথাও কোথাও এই রিপোর্ট আসতে 10 দিন পর্যন্ত সময় লেগে যাচ্ছে ।"

ABOUT THE AUTHOR

...view details