কলকাতা, 7 এপ্রিল : কোরোনা আতঙ্কে কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল হলদিয়া বন্দরে। নিজ়ামউদ্দিন ফেরত এক ইঞ্জিনিয়র কোরোনায় আক্রান্ত হওয়ায় কাজ বন্ধ রেখে পালিয়েছিলেন বন্দরের শ্রমিকরা। প্রভাব পড়েছিল কলকাতা বন্দরেও । কিন্তু গতকাল থেকেই ধীরে ধীরে পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে । হলদিয়া এবং কলকাতা বন্দরে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু হয়েছে। LPG , ভেজিটেবল অয়েলের মতো গুরুত্বপূর্ণ পণ্য ওঠানামার কাজ শুরু হয়েছে পুরোদমে। কর্মীদের আতঙ্ক কাটাতে কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের তরফে ইতিমধ্যে বন্দরের ভিতরেই তৈরি করা হয়েছে তিনটি ক্লিনিক।
দেশের বিদ্যুৎ পরিষেবা জারি রাখতে কয়লার প্রয়োজন আছে । আবার ঘরের জন্য LPG কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। লকডাউনের মাঝে এই জিনিসগুলির সরবরাহ খুবই জরুরি। সেক্ষেত্রে বন্দরের একটি গুরতত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে । 4 এপ্রিল সকালে জানা যায়, নিজ়ামউদ্দিন ফেরত এক ইঞ্জিনিয়র কোরোনায় সংক্রমিত। সেই খবর মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে হলদিয়া বন্দরে। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, হলদিয়া বন্দরের শ্রমিকরা কাজ ছেড়ে দিয়ে বাড়ি চলে যান। এর প্রভাব পড়ে কলকাতা বন্দরেও। আর তারপর স্যানিটাইজ়েশনের কাজ শুরু করে দেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দরের বিভিন্ন বার্থ, অফিস এমনকী ক্যান্টিনেও স্যানিটাইজ়েশন চলে । প্রত্যেককে কাজে ফেরার জন্য অনুরোধ করা হয়।
কোরোনা আতঙ্ক ঠেকাতে বন্দরেই 3টি ক্লিনিক, ফের কাজ শুরু - কলকাতা বন্দর
শ্রমিকদের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখতে ইতিমধ্যেই বন্দরে তিনটি ক্লিনিক খুলেছে কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট ।
গতকালই কার্গো হ্যান্ডেলিঙের কাজ শুরু হয়ে যায়। আজ সকাল থেকে পুরোদমে আবার কাজ শুরু হয়েছে। হলদিয়া ডক কমপ্লেক্সের ন'টি জাহাজের পণ্য ওঠানামা চলছে। যার মধ্যে তিনটি অয়েল জেটিতে। বাকি ছটি বন্দরের ভিতরে।
শ্রমিকদের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখতে ইতিমধ্যেই বন্দরে তিনটি ক্লিনিক তৈরি করেছে কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট । যেখানে চিকিৎসক এবং প্যারামেডিকেল স্টাফরা কাজ করছেন। বন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, পুরো কাজই চলছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে । কলকাতা ডক সিস্টেমে 18 টি ভেসেলের মাধ্যেম পণ্য ওঠানামা করেছে। বন্দরে এসেছে 17500 মেট্রিক টন কয়লা, 2850 মেট্রিক টন এডিবল অয়েল এবং 500 মেট্রিক টন লিউব অয়েল।