কলকাতা, 19 মার্চ: আবারও প্রশ্নের মুখে বাংলা ভাষা । একটি বেসরকারি স্কুলের নোটিশ দেখে রীতিমতো বাংলা ভাষাকে ঘিরে তৈরি হচ্ছে অস্তিত্বের প্রশ্ন । বেলঘড়িয়ার আড়িয়াদহের একটি ইংরাজি মাধ্যম স্কুলের ঘটনা ৷ স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে বাংলার শিক্ষিকাকে । যাতে লেখা ছিল, "বাংলা ভাষা প্রায় নেই বললেই চলে ৷" তবে এর ঠিক কিছুক্ষণের মধ্যে স্কুল কর্তৃপক্ষ ভুল শুধরে নেন । তারপরেই ফের আরেকটি চিঠি দিয়ে বলেন, বাংলা ভাষার পড়ুয়ার সংখ্যা কম রয়েছে, তাই ওই শিক্ষিকা আপাতত স্কুলে আসা থেকে বিরত থাকতে পারেন (Controversy over Bengali Teacher Removal Notice) ।
দশম শ্রেণি পর্যন্ত রয়েছে ওই বেসরকারি স্কুলে । এখনও পর্যন্ত 500 জন পড়ুয়া পঠন-পাঠন করে সেখানে । বেসরকারি ওই স্কুলের প্রথম ভাষা ইংরেজি । দ্বিতীয় ভাষা হিসাবে রয়েছে হিন্দি এবং বাংলা । তবে ক্রমেই বাংলার পড়ুয়ার সংখ্যা কমছে বলে জানায় স্কুল কর্তৃপক্ষ । যদিও এর জন্য এলাকাটাই বেশ কিছুটা দায়ী বলে মনে করছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক কমলেশ বসু । তিনি বলেন," আমাদের স্কুলে আরও দু'জন বাংলার শিক্ষক রয়েছেন । আমরা ওই শিক্ষিকাকে বলেই কাজে নিয়েছিলাম ৷ পড়ুয়ারা আসলেই উনি আবার কাজে যোগ দেবেন । তবে কিছুদিনের জন্য তাঁকে কাজ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে । কারণ করোনার পর থেকে সব জায়গাতেই পড়ুয়াদের সংখ্যা কমেছে । পড়ুয়ারা ভরতিও হয়েছে কম । তাই স্কুল ছন্দে ফিরলে আবার আমরা পুরোনো নিয়মে ফিরে যাব ।"