কলকাতা, 2 সেপ্টেম্বর: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের ইস্তফা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি। রেজিস্ট্রার ইস্তফা দিলেও তা গ্রহণ করা হয়নি বলে প্রথমে জানান যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। অন্যদিকে 'এমন কিছু হয়নি' বলে সাফ নিজের অবস্থান জানিয়ে দিলেন রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু।
রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু শুক্রবার একটি হুমকি চিঠি পেয়েছিলেন। যেখানে ধৃত সৌরভ চৌধুরীর কোনও ক্ষতি হলে তাঁকে প্রাণে মারা হবে বলে উল্লেখ ছিল। তারপরই রেজিস্ট্রার ও জয়েন্ট রেজিস্ট্রার যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। আর সেই চিঠিকে ঘিরেই শনিবার শুরু হয় বিভ্রান্তি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ প্রথমে বলেন, "উনি (রেজিস্ট্রার) ওনার কাজ চালিয়ে যেতে চাইছেন না। আর সে কারণেই সম্ভবত উনি একটা হুমকি পেয়েছেন। তবে আমি কথা বলেছি ওনার সঙ্গে। আমি ওনাকে বলেছি যে, নিরাপত্তার অভাব বোধ করেন তাহলে আমি সরকারকে বলে নিরাপত্তার দিকটা দেখব।"
তবে এই বিষয়ের রেজিস্ট্রার-এর দাবি, "আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ঘটনা ঘটেছে তা নিয়ে আমরা প্রচণ্ড ব্যস্ত। যে হুমকির চিঠি আমাদের দেওয়া হয়েছে তা পুলিশকে আমরা জানিয়েছি। তবে আমি উপাচার্যের সঙ্গে বেশ কিছু বিষয়ে কথা বলেছি যা এখনই আমি মিডিয়ার সামনে বলতে রাজি নই।" তবে এর পাশাপাশি রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকে যখন প্রশ্ন করা হয়, তিনি কি তাঁর দায়িত্ব চালিয়ে যেতে চাইছেন না ? তখন তিনি সাফ জানিয়ে দেন, "না একেবারেই না। আমি আগে আমার দায়িত্ব শেষ করব, তারপর যা করার করব।"
আরও পড়ুন: 'সৌরভের ক্ষতি হলে প্রাণ যাবে', স্নেহমঞ্জু ও সঞ্জয় গোপালকে প্রাণনাশের হুমকি অধ্যাপকের!
রেজিস্ট্রারের এই কথার পরই আবারও অন্য কথা শোনা যায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউয়ের মুখে। তিনি বলেন, "রেজিস্ট্রার আমাকে তাঁর অসুবিধার কথা বলতেই পারেন ৷ যতক্ষণ না আমি এই বিষয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছি তার আগে পর্যন্ত তাঁর ইস্তফা বলা যায় না। একটা ক্রিটিকাল অবস্থায় উনি পড়েছেন সেটা উনি আমাকে জানিয়েছেন। আমি এখনই ওনার ইস্তফা নিয়ে কিছু ভাবছি না। উনি যে সমস্যায় পড়েছেন সেটা নিয়ে ভাবছি।"