কলকাতা, 6 জুন: আইয়াইটি খড়গপুরের ছাত্র ফাইজান আহমেদকে খুন করা হয়েছিল ৷ মঙ্গলবার এমনই রিপোর্ট দিলেন অবসরপ্রাপ্ত ময়নাতদন্ত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অজয় গুপ্তা । আইআইটি খড়গপুরের ওই ছাত্রের রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়নি, তাঁকে খুন করা হয়েছিল বলে আদালতে রিপোর্ট দিয়ে জানালো ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ অজয় গুপ্তার কমিটি ।
HC on IIT Student Death: খড়গপুর আইআইটির ছাত্র ফাইজান খুন হয়েছিলেন, আদালতে রিপোর্ট বিশেষজ্ঞ কমিটির
খড়গপুর আইআইটিতে অসমের ছাত্র ফাইজান আহমেদকে খুন করা হয়েছিল ৷ বিশেষজ্ঞ কমিটি এমনই রিপোর্ট পেশ করল কলকাতা হাইকোর্টে ৷
বিষয়টি জেনে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা আইআইটি খড়গপুরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বললেন, "আইআইটি ময়নাতদন্তের প্রথম রিপোর্ট প্রভাবিত করেছে বলে মনে হচ্ছে । কারণ যেভাবে মাথায় আঘাতের চিহ্ন থাকার পরেও সেটা এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে, তাতে সন্দেহের জায়গা তৈরি হয়েছে ।"
চিকিৎসক অজয় গুপ্তার রিপোর্ট অনুযায়ী, ফাইজান আহমেদের মৃত্যু প্রবল রক্তক্ষরণ হওয়ার ফলেই হয়েছে । মাথা ও বুকে ক্ষতও রয়েছে । আগামিকাল বুধবারের মধ্যে তদন্তকারী অফিসার রিপোর্ট সংগ্রহ করবেন । শুক্রবার পরবর্তী শুনানি রয়েছে এই মামলার । এবার প্রয়োজনে আইও তদন্তকারী অফিসার নতুন ধারা যুক্ত করতে পারবেন । 302 ধারা যুক্ত করার সময় এসে গিয়েছে বলে মনে করছে আদালত । যদিও সরকারিভাবে এখনই এই নিয়ে কিছু লেখা হচ্ছে না বলে সরকারি কৌশলীকে জানিয়েছেন বিচারপতি ।
আরও পড়ুন : 'নিরাপদ নয় আইআইটি খড়গপুর'! দাবি অসমের মৃত পড়ুয়ার মায়ের
এমনকি অভিযুক্তদের চিহ্নিত করারও সময় এসেছে বলে মনে করছে আদালত । সিএফএসএল অধিকর্তাকে এক সপ্তাহের মধ্যে ভিসেরা পরীক্ষা করে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । আগামী শুনানিতে কেস ডায়েরি জমা দিতে হবে আদালতে । রাজ্যকে মৃতদেহ ডিব্রুগড়ে পাঠানোর দ্রুত ব্যবস্থা করতে হবে । আইআইটি যেখানে আংশিক অভিযুক্ত সেখানে এখন ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তারা পেতে পারে কি ? আদালতে প্রশ্ন তুলেছেন চিকিৎসক গুপ্তার সহকারী আইনজীবী সন্দীপ ভট্টাচার্য ।
আইআইটিকে আদালতের পর্যবেক্ষণ, আপনারা আংশিক অভিযুক্ত । আপনাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে । সিবিআই বা কেন্দ্রীয় এজেন্সি নয়, আগামী শুনানির পর আদালত রাজ্য পুলিশের দক্ষ অফিসারদের নিয়ে এই তদন্তে সিট গঠন করতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে এদিন ।