কলকাতা, 1 মার্চ: যে সমস্ত মোটরবাইক ও স্কুটার (দু'চাকার যান) বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে, সেগুলির উপর বাণিজ্যিক কর বা 'কমার্শিয়াল ট্যাক্স' বসাতে শুরু করেছে রাজ্য পরিবহণ দফতর (Commercial Tax on Two Wheelers) ৷ সরকারের যুক্তি, এর মাধ্যমে একদিকে যেমন ব্যক্তিগত মোটরবাইকের 'অপব্যবহার' ঠেকানো যাবে, তেমনই সরকারের আয়ের পরিমাণও বাড়বে ৷ কিন্তু, সরকারের এই নয়া সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ অ্য়াপনির্ভর বিভিন্ন ধরনের পণ্য সরবরাহকারী ও যাত্রী পরিবহণ সংস্থার কর্মীরা ৷ তাঁদের বক্তব্য, মোটরবাইক বা স্কুটার নিয়ে তাঁরা কোথায় যাচ্ছেন, কত টাকা উপার্জন করছেন, তার সবটাই সংশ্লিষ্ট অ্য়াপ সংস্থার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় ৷ এই গোটা প্রক্রিয়ায় মোটরবাইকচালক বা ডেলিভারি পার্টনার বা রাইডারের কোনও ভূমিকা থাকে না ৷ তাই সরকারের যদি এই মোটরবাইক বা স্কুটারগুলি থেকে বাণিজ্যিক কর আদায় করতেই হয়, তাহলে তা সংশ্লিষ্ট অ্য়াপ সংস্থার কাছ থেকেই করা হোক ৷ এই ডেলিভারি পার্টনার বা রাইডাররা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, সরকার যদি তাঁদের কাছ থেকে কর আদায় করে, তাহলে তাঁরা ধর্মঘটের মতো কঠোর পদক্ষেপ করতে বাধ্য হবেন ৷ কারণ, যে সামান্য অর্থ তাঁরা আয় করেন, তার থেকে অতিরিক্ত করের বোঝা বহন করা সম্ভব নয় ৷
এই বিষয়ে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন তুলেছেন অ্য়াপনির্ভর পণ্য সরবরাহ ও যাত্রী পরিবহণ সংস্থাগুলির ডেলিভারি পার্টনার ও রাইডাররা ৷ যেমন-
1) যাঁরা মোটরবাইক বা স্কুটারে পণ্য গ্রাহকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছেন, তাঁরা কোনও ব্যবসা করছেন না ৷ আদতে তাঁরা সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলির শ্রমিক ৷ এখানে ব্যবসা করছেন সংশ্লিষ্ট অ্যাপনির্ভর সংস্থা ৷ তাহলে তারা কেন করের টাকা দেবে না ?
2) এই ডেলিভারি পার্টনার ও রাইডাররা যে মোটরবাইক ও স্কুটারগুলি ব্যবহার করেন, সেগুলি তাঁদের নিজেদের টাকায় কেনা ৷ সংস্থার কাজ চালানোর জন্যই তাঁরা সেগুলি ব্যবহার করেন ৷ তাছাড়া, ওই একই গাড়ি তাঁরা ব্যক্তিগত কারণেও ব্যবহার করেন ৷ তাহলে কেন কমার্শিয়াল ট্যাক্স দেবেন তাঁরা ?