কলকাতা, 18 অগাস্ট : বিশ্বভারতীর ঘটনায় ফুঁসছে বাংলার শিক্ষা মহল । তাণ্ডবের প্রতিবাদে সরব হয়েছেন বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য থেকে শুরু করে বর্তমান অধ্যাপকরা । বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য সুজিত বসুর আমলে চুরি যায় নোবেল । তিনি পুরো ঘটনা দেখেছেন টিভিতে । ঘটনায় লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে গেছে তাঁর। বিক্ষোভকারীরা বিশ্বভারতীর ঐতিহ্যবাহী জ্যাকেটটি ভেঙে ফেলেছে, সেটি তার আমলে তৈরি হয়েছিল ।
সুজিত বসু বলেন, "আমার পুরো বিষয়টা অত্যন্ত খারাপ লাগছিল। বিশেষ করে যেভাবে গেটটা ভেঙে ফেলা হল, তা কাম্য ছিল না। গেটের ডিজ়াইন করেছিলাম অরুদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিয়ে । তিনি একজন বিখ্যাত শিল্পী। সেই স্থাপত্য তৈরির সঙ্গে যেহেতু নিজে জড়িয়ে ছিলাম, আমার খুব খারাপ লাগছিল। লজ্জা লাগছিল। কোথায় যেন মনে হচ্ছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এখন অনেকটা পিছনে চলে গেছেন । পুরো ঘটনা দেখে মনে হয়েছে, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষও দায় এড়াতে পারে না। তারা মানুষকে বোঝাতে পারেনি। ওখানে অনেক মানুষ থাকেন যাঁরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে সকাল-বিকেল প্রণাম করেন। অত্যন্ত ভালোবাসেন। তাঁদের সেন্টিমেন্টের জায়গাটা বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে বুঝতে হবে। তবে তার মধ্যে কিছু অসাধু ব্যক্তি এই বিক্ষোভে জড়িয়ে ছিলেন না এমনটাও নয়। তারা নিজস্ব এজেন্ডায় সুযোগের ফায়দা নিয়েছে। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল, মানুষকে বুঝিয়ে কাজ করার। তবে গতকাল পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত লজ্জার ছিল। থানার গায়ে পাঁচিল তোলার কাজ চলছিল। সেখানে আরও উচ্চপদস্থরা উপস্থিত ছিলেন । কিন্তু পুলিশ নীরব দর্শকের মতো সবটা দেখছিল। উপাচার্যকে কেন ডাকতে হবে পুলিশকে ? পুলিশ নিজেরাই তো সক্রিয় ভূমিকা নিতে পারত । আমার মনে আছে, যখন বিশ্বভারতীতে কাজ করতাম তখন প্রায় 300 লোক রেজিস্ট্রারের উপর চড়াও হয়েছিল । আমি SP-কে ফোন করতে উনি 45 মিনিটের রাস্তা 22 মিনিটে চলে এসেছিলেন সিউড়ি থেকে। এমনটাই তো হওয়া উচিত । আগামী দিনে বিশ্বভারতীর পড়াশোনার মান নিয়ে আমার কোনও প্রশ্ন নেই । কিন্তু প্রশাসন আরও সুচারুভাবে চালালে উপকৃত হবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ । "