পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

Coal Smuggling Scam: টাকার পাহাড় উদ্ধারের পর 10 ঘণ্টা জেরা বিক্রম শিকারিয়াকে, মিলল আরও এক প্রভাবশালী ব্যবসায়ীর নাম - বিক্রম শিকারিয়া

কয়লা পাচার কাণ্ডে (Coal Smuggling Scam) গজরাজ গ্রুপের বালিগঞ্জের অফিস থেকে টাকার পাহাড় উদ্ধারের পর এই গ্রুপের মালিক বিক্রম শিকারিয়াকে (Vikram Sikaria) 10 ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করল ইডি ৷ তার থেকেই তারা জানতে পেরেছে আরও এক প্রভাবশালী ব্যবসায়ীর নাম ৷

Coal Smuggling Scam ETV Bharat
টাকার পাহাড় উদ্ধার

By

Published : Feb 9, 2023, 12:21 PM IST

কলকাতা, 9 ফেব্রুয়ারি: কয়লা পাচার কাণ্ডে (Coal Smuggling Scam) খাস কলকাতা থেকে এক কোটি 40 লক্ষ টাকা উদ্ধারের ঘটনার পর, ইডির গোয়েন্দারা গজরাজ গ্রুপের (Gajraj Group) মালিক বিক্রম শিকারিয়াকে (Vikram Sikaria) প্রায় 10 ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করলেন । তাঁর থেকে প্রাথমিক তথ্য পাওয়ার পরেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, শুধু গজরাজ গ্রুপ নয় বরং কয়লা পাচারের কোটি কোটি কালো টাকা সাদা টাকায় পরিণত করার জন্য আরও একাধিক সংস্থাকে কাজে লাগানো হয়েছিল । উঠে এসেছে এক প্রভাবশালী ব্যবসায়ীর নামও ৷

খোঁজ চলছে অপর ব্যবসায়ীর: গজরাজ গ্রুপের পরেই যে সংস্থাটি পাচারকারীদের থেকে সবথেকে বেশি টাকা তুলে বাজারে খাটিয়েছিল, সেই গ্রুপের মালিককে এ বার হন্যে হয়ে খুঁজছেন তদন্তকারীরা ৷ জানা গিয়েছে, যে ব্যবসায়ীর খোঁজ চলছে তাঁর নাম মনোজিৎ সিং জিত্তার । রীতিমতোই কলকাতা এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকা এমনকী ভিন রাজ্যেও তল্লাশি অভিযান শুরু করেছেন ইডির গোয়েন্দারা ।

মিলেছে একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম: পাশাপাশি গজরাজ সংস্থার মালিক বিক্রম শিকারিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম জানতে পেরেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা । জানা গিয়েছে, এই গজরাজ গ্রুপের মালিকের সঙ্গে নিত্য ওঠাবসা ছিল শাসকদলের একাধিক নেতানেত্রীর । স্বভাবতই এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে কি কয়লা পাচারের কালো টাকা প্রভাবশালীদের মাধ্যমেই এই গ্রুপগুলিকে হস্তান্তর করা হয়েছিল ?

আরও পড়ুন:কলকাতায় ফের বান্ডিল-বান্ডিল নোট ! নির্মাণ সংস্থার অফিস থেকে কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত ইডির

বাজেয়াপ্ত সামগ্রী ঘেঁটে আরও তথ্য মিলতে পারে: এই ঘটনায় বালিগঞ্জে গজরাজ গ্রুপের অফিসে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে এক কোটি 40 লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে ৷ পাশাপাশি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে একাধিক নথিপত্র, পেনড্রাইভ, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, হার্ড ডিস্ক এবং ডায়েরি । এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট সূত্রে খবর, বাজেয়াপ্ত হওয়া নথিপত্র এবং সামগ্রীগুলি ঘেঁটে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং প্রভাবশালীদের নাম পরিচয় পাওয়া যেতে পারে ৷ গজরাজ গ্রুপের কাছে এই কোটি কোটি টাকা কীভাবে এসে পৌঁছল, রাত পর্যন্ত তার কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি ৷

ABOUT THE AUTHOR

...view details