কলকাতা, 22 ফেব্রুয়ারি: গঙ্গা ভাঙন রোধে এবং গঙ্গার শাখা নদী সংস্কারের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee writes letter to PM Narendra Modi on Ganga erosion) ৷ গঙ্গা ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিক কেন্দ্র, চিঠিতে এই দাবি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷
চলতি উত্তরপ্রদেশ ভোটের আবহে গো বলয়ের রাজনীতিতে একটা বড় ইস্যু গঙ্গা । মনে করা হচ্ছে ঠিক এই সময় নরেন্দ্র মোদিকে চিঠে লিখে এক ঢিলে দুই পাখি মারলেন মমতা ৷ একদিকে গঙ্গা ভাঙন নিয়ে চিঠি লিখে এই রাজ্যের একাধিক জেলার ভাঙন পীড়িত মানুষদের পাশে দাঁড়ানো, অন্যদিকে, বিজেপি মুখে নমামি গঙ্গে প্রকল্পের কথা বললেও তা যে কথার কথা তা আরও একবার এই চিঠির মাধ্যমে তুলে ধরলেন তিনি।
গঙ্গা ভাঙন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর এদিনের চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, গঙ্গার ভাঙন গিলে খাচ্ছে মালদা ও মুর্শিদাবাদের বসত বাড়ি, চাষের জমি । বর্ষা এলেই সেই ভাঙন ভয়ঙ্কর চেহারা নেয় । বিশেষ করে গঙ্গা ও পদ্মার সমস্ত শাখা নদীতে পলি জমে ও সংস্কারের অভাবে নাব্যতা কমছে নদী গুলির । তাই অল্প বৃষ্টিতেই দুকূল ছাপিয়ে বন্যা হয় । অবিলম্বে কেন্দ্র এই বিষয়ে রাজ্যের পাশে দাঁড়াক ও আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করুক, এই দাবি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ রাজ্য এর আগেও একাধিকবার অভিযোগ করেছে, নদী ভাঙনের কারণে বাংলার দুর্দশার কথা বারবার সেচ মন্ত্রককে জানিয়েও ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি ।
আরও পড়ুন : পাঁচ রাজ্যে ভোট মিটলেই বঙ্গ বিজেপির দ্বন্দ্ব ঠেকাতে বৈঠক করবেন নাড্ডা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, গত 15 বছরে এই ভাঙনের কবলে পড়ে 2800 হেক্টর উর্বর জমি গঙ্গার গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে । সরকারি এবং বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় এক হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । উল্টোদিকে এই নদী ভাঙনের কারণে কঠিন থেকে কঠিনতর হচ্ছে মুর্শিদাবাদ, মালদা, নদিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষের জীবন । এই অবস্থায় রাজ্যের মানুষের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী । এদিন ফারাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগও করেছেন মমতা । তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রের নিষ্ক্রিয়তার কারণেই একরকম বাধ্য হয়ে রাজ্যের কোষাগার থেকে অর্থ খরচ করতে হয়েছে রাজ্যকে । কিন্তু সমস্যা হল এই মুহূর্তে গঙ্গার ভাঙন রোধ এবং তার শাখা নদী গুলি সংস্কারের জন্য যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন তা একা রাজ্যের পক্ষে জোগান দেওয়া সম্ভব নয় । আর তাই কেন্দ্রের মুখাপেক্ষী হয়ে এই চিঠি দিয়েছেন তিনি।