দুবাই বিমানবন্দরে দেখা শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দুবাই, 13 সেপ্টেম্বর: মাদ্রিদে পৌঁছনোর আগেই এবার শ্রীলঙ্কায় যাওয়ার আমন্ত্রণ পেলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, কলকাতা থেকে স্পেন উড়ে যাওয়ার পথে সংযোগকারী বিমানের জন্য দুবাইয়ে একটা লম্বা সময় থাকতে হয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে। সেখানেই তাঁর সঙ্গে আচমকাই শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রণিল বিক্রমাসিঙ্ঘের দেখা গেল। প্রথমে সৌজন্য বিনিময় এবং পরবর্তীতে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয় দু'জনের মধ্যে।
তারই ফাঁকে শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সে দেশে যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, কলকাতা থেকে বিমানে গতকালই দুবাই পৌঁছেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সফরে তাঁর সঙ্গে রয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। রয়েছে একটি প্রতিনিধি দলও। গতকাল বিকেলের পর এদিন সকাল দশটায় দুবাই থেকে সরাসরি বিমানে মাদ্রিদ যাওয়ার বিমানে ওঠার কথা ছিল। তার জন্য দুবাই এয়ারপোর্টের টার্মিনালে অপেক্ষা করছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সেখানে আচমকাই শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা হয়ে যায় তাঁর। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে দেখামাত্র তাঁকে ডেকে নেন তিনি। দু'জনের মধ্যে মিনিট পনেরো কথা হয়। যতদূর জানা গিয়েছে এই কথোপকথনের সময়ই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে শ্রীলঙ্কায় যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট। একইসঙ্গে বিক্রমাসিঙ্ঘেকে কলকাতায় আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি। চলতি বছর নভেম্বর মাসেই রাজ্যে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন রয়েছে সেখানেই শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
একইসঙ্গে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকেও তাঁদের দেশে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বিক্রমাসিঙ্ঘে। এদিন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে এয়ারপোর্টে সাময়িক সময়ের অবসরেও নিজের শিল্পকর্মে মগ্ন থাকতে দেখা যায়। বিমানবন্দরে বসে থাকাকালীন রং তুলি নিজের হাতে তুলে নেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই ছবিও সোশাল মিডিয়ায় প্রকাশ্যে এসেছে। অনেকেই তাঁর প্রশংসাও করেছেন। এখনও পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর যা সফরসূচি, তাতে বুধবার বিকেলের পরে মাদ্রিদ পৌঁছবেন তিনি। বৃহস্পতিবার তাঁর সঙ্গে স্পেনের লা লিগার প্রেসিডেন্ট হাভিয়ার তেভাজ়ের বৈঠক। সেখানে থাকার কথা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং কলকাতার তিন প্রধান ক্লাব মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল এবং মহামেডান কর্তাদের।
আরও পড়ুন:মোদির নেতৃত্বে ভারতের দেশীয় প্রযুক্তির প্রচার সঠিক সিদ্ধান্ত, মত পুতিনের