কলকাতা, 6 ডিসেম্বর: নীতিগত বিরোধিতা থাকলেও দেশের স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করতে আপত্তি নেই ৷ রাষ্ট্রপতি ভবনে জি-20 সম্মেলনের প্রস্তুতি বৈঠকে যোগ দিয়ে এই বার্তাই দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ আগামী বছর জি-20 সম্মেলনের সভাপতিত্ব করবে ভারত ৷ তারই প্রস্তুতিপর্বে দেশের মুখ্য রাজনৈতিক দলগুলির প্রধান এবং মুখ্যমন্ত্রীদের আহ্বান জানানো হয় ৷ বৈঠকের নেতৃত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ওড়িশার নবীন পটনায়ক, সিকিমের প্রেম সিং তামাং, মহারাষ্ট্রের একনাথ শিন্ডে, দিল্লির অরবিন্দ কেজরিওয়াল, অন্ধ্রপ্রদেশের জগন মোহন রেড্ডি, তামিলনাড়ুর এম কে স্তালিন বৈঠকে অংশ নেন ৷ এছাড়া কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়া, সিপিআই(এম)-এর সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআইয়ের সাধারণ সম্পাদক ডি রাজা, তেলেগু দেশম পার্টির প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডুও উপস্থিত ছিলেন প্রাক জি-20 পর্বে ৷ জানা গিয়েছে, রাষ্ট্রপতি ভবনে মোট 40 টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা এসেছিলেন ৷ আর 15 জন রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রী তাঁদের বক্তব্য বলার সুযোগ পেয়েছেন ৷
আরও পড়ুন: এবার আর মোদি-মমতা বৈঠক নয়, কী বলছে বিজেপি ?
সোমবার বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অংশ নেন তৃণমূল সুপ্রিমো হিসেবে ৷ এক্ষেত্রে তাঁর দলগত অবস্থানের উপরই জোর দিলেন ৷ দেশে পেট্রল-ডিজেল, রান্নার গ্যাসের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো-সহ একাধিক ইস্যুতে মোদি সরকারের সঙ্গে তৃণমূল এবং রাজ্য সরকারের মতপার্থক্য, নীতিগত লড়াই ছিল, আছে, থাকবে ৷
তাও ক্ষুদ্র রাজনৈতিক স্বার্থের উপরে উঠে কাজ করার পক্ষেই সওয়াল করেছেন তিনি ৷ এমনকী তৃণমূল নেত্রীর বিজেপি-বিরোধী অবস্থানকে সমর্থন জানিয়েছেন বাম-কংগ্রেস ৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে হওয়া এই বৈঠকে একদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজপি সভাপতি জেপি নাড্ডা তাঁদের কথা বলেছেন ৷ অন্যদিকে বিরোধী শিবিরের কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল, ডিএমকে সুপ্রিমো স্তালিন, সিপিআইএম-এর সীতারাম ইয়েচুরি, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়া প্রমুখ বক্তব্য বলেছেন ।
2023-এর সেপ্টেম্বরে জি-20 শীর্ষ সম্মেলন (G20 Summit) হবে দিল্লিতে ৷ তার আগে কলকাতা-সহ গোটা দেশের 55টি জায়গায় 200 টি জি-20 বৈঠক হবে ৷ যে যে রাজ্যগুলিতে জি-20 বৈঠক হওয়ার কথা, সেই রাজ্যের আঞ্চলিক কৃষ্টি-সংস্কৃতি-খাদ্যাভাস-পর্যটন-হেরিটেজ-সহ নানাবিধ বিষয় তুলে ধরা হবে দেশ-বিদেশের অতিথিদের কাছে ৷