পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

Child Died of Adenovirus: ফের শহরে শিশু মৃত্যু, ক্রমেই বাড়ছে অ্যাডিনো ভাইরাস আতঙ্ক

ফের শহরে অ্যাডিনো ভাইরাসে মৃত্যু (Child Death) ৷ পাঁচের ঊর্ধ্ব শিশুর ক্ষেত্রে মাস্ক পড়তে বলতে বলছেন চিকিৎসকরা ৷ সেই সঙ্গে বারবার বড়দেরকেও সাবধান হতে বলছেন চিকিৎসকরা ৷

By

Published : Mar 5, 2023, 9:15 PM IST

Child Death in Adenovirus
ফাইল ছবি

কলকাতা, 5 মার্চ: রাজ্যজুড়ে ক্রমেই বাড়ছে অ্যাডিনো ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা (Child Death Due to Adenovirus)। শনিবার রাত থেকে রবিবার পর্যন্ত বড় সংখ্যায় শিশুমৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সংখ্যাটা 6। তার মধ্যে একটি শিশু অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্তের কারণে মারা গিয়েছে। গত 9 দিনে এই নিয়ে 36 শিশুর মৃত্যু হল ৷ ফলে ক্রমেই চিন্তা বাড়াচ্ছে অ্যাডিনো ভাইরাস ৷

জ্বর-সর্দি-কাশির (Adenovirus Symptoms) জেরে নাজেহাল রাজ্যের শিশুরা। একের পর এক হাসপাতাল ক্রমেই বাড়ছে শিশু রোগীর সংখ্যা। মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। শোনা যাচ্ছে, রবিবার ভোররাত থেকে দুপুর পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে প্রায় 6টি শিশুর। তার মধ্যে একজনই কেবল অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত ছিল। শিশুটি মেটিয়াবুরুজ সংলগ্ন নাদিয়াল থানা এলাকার বাসিন্দা। আতিফা খাতুনের 1 বছর 7 মাস বয়স। শুক্রবার ভোরে তার মৃত্যু হয়। অন্যদিকে, উত্তর 24 পরগনার দেগঙ্গার এক শিশুও মারা গিয়েছে ৷ গত 10 তারিখ তাকে ভরতি করা হয় বিসি রায় হাসপাতালে। আজ সকাল 10টা নাগাদ তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে অ্যাডিনো ভাইরাস।

আরও পড়ুন:ফের বিসি রায় হাসপাতালে মৃত 2, গত 9 দিনে 36 শিশুর মৃত্যু ! চিন্তা বাড়াচ্ছে অ্যাডিনো ভাইরাস

তবে এছাড়াও শোনা যাচ্ছে আরও শিশুর মৃত্যু হয়েছে জ্বর-সর্দি-কাশিতে। মূলত গরমকাল পড়লে এই ভাইরাসের প্রকোপ কমে যায়। তবে এবছর তা দেখা যাচ্ছে না। তাই নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন চিকিৎসকরা। পাঁচের ঊর্ধ্বে শিশুর ক্ষেত্রে মাস্ক পড়তে বলা হচ্ছে। বড়দেরকেও সাবধান করা হয়েছে। স্বাস্থ্যভবনে মিটিং হয়েছে একাধিকবার। পরিদর্শনেও গিয়েছেন স্বাস্থ্য-অধিকর্তা। মুখমন্ত্রী নিজেও এই বিষয় বৈঠক করেছেন। তিনি আতঙ্কিত হতে বারণ করেছেন ৷ তাঁর কথায়, রাজ্যে পর্যাপ্ত পরিষেবা রয়েছে ৷ তবে আপাতত রাজ্যে জ্বর ও শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়ে অসুখে শিশু মৃত্যুর ঘটনা অব্যাহত। শিশু রোগ চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, যে সমস্ত বাচ্চা ইতিমধ্যেই আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভরতি রয়েছে, তারা ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছে। তবে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসাধীন শিশুদের মধ্যেই এখনও পর্যন্ত মৃত্যু ঘটছে।

ABOUT THE AUTHOR

...view details