কলকাতা, 20 মে : কোরোনা মোকাবিলায় চলছে লকডাউন । বন্ধ গণপরিবহন । বন্ধ রয়েছে স্কুলবাস ও অফিস বাস পরিষেবা । দীর্ঘ কর্মহীনতার জেরে আর্থিকভাবে সমস্যায় পড়েছেন চার্টার্ড বাস মালিক ও চালকরা । তাই এবার সহায়তার আর্জি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হয়েছেন মালিকরা ।
কোরোনার জেরে চূড়ান্ত আর্থিক সমস্যার মুখে পড়েছে পরিবহন শিল্প । স্কুলবাস মালিকরা বলেছেন, পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে কবে পাকাপাকিভাবে স্কুলগুলি খুলবে সে বিষয়ে এখন কিছুই বলা যাচ্ছে না ।
আর্থিক সংকটের মুখে চার্টার্ড বাস মালিকরা, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সহায়তার আর্জি
কোরোনার জেরে চূড়ান্ত আর্থিক সমস্যার মুখে পড়েছে পরিবহন শিল্প । যার কারণ আর্থিক সংকটে পড়েছেন বাস মালিকরা । সাহায্যের আর্জি জানিয়ে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা ।
ওয়েস্টবেঙ্গল কন্ট্রাক্ট ক্যারেজ ওনার্স অ্যান্ড অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হিমাদ্রী গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, " দীর্ঘ সময় ধরে লকডাউন চলছে । তাই চরম আর্থিক অভাবের মুখে বাস মালিক ও চালকরা । ইতিমধ্যেই খুলেছে বেশ কয়েকটি সরকারি অফিস । সল্টলেকে বেশ কয়েকটি সরকারি দপ্তর রয়েছে । তাই সেসব দপ্তরে বাস পরিষেবা দেওয়ার অনুমতি চেয়ে সংগঠনের তরফে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়সহ পরিবহন দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে । অবশ্যই পরিষেবা দেওয়ার সময় বিভিন্ন স্বাস্থ্যবিধি এবং নিয়ম মানা হবে । বাস পরিষেবা বন্ধ থাকলেও চালক ও অন্যান্য কর্মীদের নিয়মিত বেতন দিতে হচ্ছে । পাশাপাশি চালিয়ে যেতে হচ্ছে গ্যারেজ ভাড়া, রোড ট্যাক্স, ইনসিওরেন্স প্রিমিয়াম ও ব্যাঙ্ক লোনের কিস্তি। আমাদের সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে । তাই রাজ্য প্রশাসনের কাছে রোড ট্যাক্সের উপর ছাড়ের আবেদন জানানো হয়েছে । অন্যদিকে, গাড়ির পারমিট রিনুয়াল, CF, ড্রাইভিং লাইসেন্স রিনুয়াল, অন্যান্য ফাইন ও করের উপর ছাড় ও অগাস্ট মাস পর্যন্ত EMI মরেটরিয়ামের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে।"
কলকাতা, বিধাননগর, হাওড়া সিটি ও হাওড়া, দক্ষিণ 24 পরগনা, উত্তর 24 পরগনা ও হুগলি মিলিয়ে রয়েছে প্রায় 3 হাজারের বেশি স্কুলবাস । পাশাপাশি সল্টলেক সিটি, নিউ টাউন ও বানতলা মিলিয়ে অফিসগুলিতে পরিষেবা দিচ্ছে 1500-র উপর বাস ।