পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

এখনও কাজ করছে না হেল্পলাইন নম্বর, CESC-র দাবি বিদ‍্যুৎ ফিরেছে 92 শতাংশে!

দক্ষিণ কলকাতার সন্তোষপুরের একাধিক এলাকা, আনন্দপুর, টালিগঞ্জ, প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড একাধিক এলাকায় এখনও পর্যন্ত বিদ্যুৎ পরিষেবা চালু হয়নি । আজ সন্তোষপুর, বেহালা, টালিগঞ্জ, প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় মানুষজন।

By

Published : May 25, 2020, 8:14 PM IST

Updated : May 25, 2020, 8:39 PM IST

ছবি
ছবি

কলকাতা, 25 মে : প্রায় 33 লাখ গ্রাহক। গত চারদিনে তাদের 92 শতাংশের বাড়িতেই ফিরিয়ে দেওয়া গেছে বিদ‍্যুৎ সংযোগ। আজ সাতসকালে এমনই দাবি করে CESC। কিন্তু কলকাতাবাসীর একাংশের অভিযোগ, এই দাবি ভিত্তিহীন। বহু এলাকায় এখনও পর্যন্ত পরিষেবা স্বাভাবিক হয়নি । এমনকি এখনও পর্যন্ত কাজ করছে না CESC-র হেল্পলাইন নম্বর 1912। অন্যদিকে, কলকাতা পৌর নিগমের অ্যাডমিনিস্ট্রেটর ফিরহাদ হাকিম বলেন, "CESC-কে বলেছি এনাফ ইজ় এনাফ। আর কত ধৈর্য রাখব। আপনারা লোকবল বাড়ান।"

অভিযোগ, দক্ষিণ কলকাতার সন্তোষপুরের একাধিক এলাকা, আনন্দপুর, টালিগঞ্জ, প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড, বেহালার একাধিক এলাকা,সারদা পার্ক যাদবপুর সহ টালিগঞ্জের বেশ কিছু এলাকায় এখনও পর্যন্ত বিদ্যুৎ পরিষেবা চালু হয়নি । এর জেরে আজ সন্তোষপুর, বেহালা, টালিগঞ্জ, প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় মানুষজন। বাঘাযতীন এবং সন্তোষপুরের মাঝে 103 নম্বর ওয়ার্ড এখনও প্রায় পুরোপুরি বিদ্যুৎহীন। তীব্র জলকষ্টে ভুগছেন সাধারণ মানুষজন। আজ সন্তোষপুর ব্রিজের সামনে এলাকাবাসী পথ অবরোধ করেন। স্থানীয় বাম কাউন্সিলর রিঙ্কু নস্করের অভিযোগ, "বারবার বলে CESC কর্মীদের এই ওয়ার্ডে আসার ব্যবস্থা করেছিলাম। কিন্তু তাদের নিজেদের এলাকায় নিয়ে চলে গেছে 109 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর। ক্ষমতা দেখিয়ে এসব করা হচ্ছে। আমফানের মতো বিধ্বংসী ঝড়ের পরও বিরোধীদের সঙ্গে বিমাতৃসুলভ আচরণ চলছে।" এদিকে আনন্দপুর এলাকার একটি বিদ্যুৎ সাব স্টেশনের সামনে স্থানীয় মানুষজন বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। ইট-পাটকেল অভিযোগ ছোড়ার অভিযোগও উঠেছে ।

সন্তোষপুরের বাসিন্দা চিত্রশিল্পী বিনীত সিনহার অভিযোগ, "একশো কুড়ি ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছি। সন্তোষপুরের জোড়া ব্রিজ, সার্ভে পার্কের একটা অংশ এখনও পর্যন্ত অন্ধকারে। অথচ CESC বলছে সন্তোষপুরে বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ডাহা মিথ্যা দাবি করছে ওরা। বিদ্যুৎহীন থাকার জন্য তীব্র জল কষ্টে ভুগছি আমরা। বারবার ধরে চেষ্টা করেছি 1912 হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করতে। এই নম্বর গত 6 দিন ধরে কাজ করছে না।"

বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকার ফলে মিটছে না জলকষ্ট। নিত্য ব্যবহার্য জল পাম্প দিয়ে তুলতে পারছে না সাধারণ মানুষ। সঙ্গে মোবাইলের চার্জ দেওয়া যাচ্ছে না। বন্ধ রয়েছে টিভি। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছেন বাচ্চা থেকে বুড়ো সকলেই । কিন্তু পাখা কিংবা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র ব্যবহার করে সেই গরম থেকে মুক্তির কোনও উপায় নেই।

Last Updated : May 25, 2020, 8:39 PM IST

ABOUT THE AUTHOR

...view details