কলকাতা, 23 জুন: পঞ্চায়েত নির্বাচন শেষ হয়ে যাওয়ার পরও 15 দিন রাজ্যে মোতায়ন রাখতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। শুক্রবার এই দাবির পাশাপাশি আরও একাধিক দাবিদাওয়া নিয়ে আবারও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দরবারে গেলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিধায়ক মনোজ টিগ্গা। এদিন সকালেই বিধানসভায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি সঞ্জয় বনসলেকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের কাজে ব্যবহার করার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। এরপর কমিশনের দফতরে গিয়ে ফের তা নিয়ে সরব হলেন শুভেন্দু ৷
রাজ্য নির্বাচন কমশিনারের সঙ্গে দেখা করে তিনি এই বিষয়টি উত্থাপন করেছেন বলে এদিন জানান শুভেন্দু অধিকারী ৷ বিজোপি নেতার দাবি, কমিশনার তাঁকে জনিয়েছেন, আইটির বিষয় সাহায্য করার জন্য সঞ্জয় বনসলকে বিশেষ রিকুজিশন দিয়ে চাওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারী জানান, যে তিনি রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে বলেছেন, যে তাঁকে সেই রিকুজিশনের কপি দিতে হবে। শুভেন্দুবাবু আরও জানান, যে যদি দেখা যায় যে কমিশনার এরকম কিছু করতে পারেন না তাহলে অভিযোগ জানিয়ে তাঁরা ফের আদালতে যাবেন।
আদালত অবমাননার যে মামলার শুনানি ছিল এদিন সেই বিষয় তিনি বলেন, "আমরা হাইকোর্টের এদিনের রায় এবং তার পর্যবেক্ষণে খুশি। কোর্টে যে বয়ানগুলো নিয়ে আলোচনা চলছে সেগুলো নিয়ে আমরা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে কোনও আলোচনা করিনি।" তিনি আরও জানান, যে আগে প্রতিদিন সাংবাদিকদের ব্রিফিং করা হত ইলেকশন কমিশনের তরফে। সেখানে নমিনেশন জমা বা স্ক্রুটিনি হওয়ার পর অবশেষে কতগুলি নমিনেশন জমা পরল তার সঠিক হিসাব দেওয়া হতো সেই প্রেস ব্রিফিংয়ে। কিন্তু এবার সেরকম কিছুই করা হয়নি। বিজেপি কোনও এমন কপি পায়নি বলেও দাবি শুভেন্দুর।
আরও পড়ুন:সমান্তরাল সরকার চালাচ্ছে রাজভবন, বিরোধী বৈঠকেও ক্ষোভ উগরে দিলেন মমতা
অবশেষে 48 ঘণ্টা পর গত পরশু দিন যে সংখ্যা দেওয়া হয়েছে তাতে দক্ষিণ 24 পরগনা এবং মুর্শিদাবাদ-এর সংখ্যা নেই। তিনি আরও জানান, যে হাইকোর্টের অর্ডার আছে সাইমনটেনিয়াস কাউন্টিং করতে হবে। কাউন্টিং সেন্টার বাড়িয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের কাউন্টিং এক সঙ্গে গণনা করে কয়েক ঘন্টার মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করতে হবে। আজ পটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক নিয়ে কটাক্ষ করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "চোরেদের সিন্ডিকেটের জোট করতে গিয়েছিল। এরা প্রত্যেকে বছরের পর বছর জেল খাটা লোকজন ওখানে উপস্থিত হয়েছিল। পরিবারতন্ত্রকে বাঁচাতে ওখানে উপস্থিত ছিল সবাই সপরিবারে।"