কলকাতা, 1 জুলাই:পঞ্চায়েত নির্বাচনে কার্যত ঠুঁটো-জগন্নাথ করে রাখা হচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ৷ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, 315 কোম্পানি বাহিনীকে বুথে নির্বাচন পরিচালনার কাজে ব্য়বহার করা হবে না ৷ বরং এই বাহিনীকে ব্যবহার করা হবে এরিয়া ডমিনেশন, রুটমার্চ এবং আন্তর্জাতিক ও আন্তঃরাজ্য নাকাচেকিংয়ের কাজে ৷ আর কোথাও কোনও সমস্যা বা ঝামেলার খবর কমিশন বা জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে এলে, সেখানে বাহিনীকে পাঠানো হবে ৷ তবে, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বুথে মোতায়েন করার বিষয়ে কোনও উল্লেখ কমিশন করেনি ৷
আগামিকালের মধ্যে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে চাওয়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে চাওয়া 315 কোম্পানি বাহিনী পৌঁছে যাবে ৷ কিন্তু, সেই বাহিনীকে বুথে নির্বাচন পরিচালনার জন্য ব্যবহার করবে না কমিশন ৷ আজ দুপুরের পর কমিশনার রাজীবা সিনহা একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে একথা জানিয়েছেন ৷ বরং এই বাহিনীকে ব্যবহার করা হবে, এরিয়া ডমিনেশন, রুটমার্চ, আন্তর্জাতিক সীমান্ত ও আন্তঃরাজ্য সীমানার নিরাপত্তায় ৷ সেই সঙ্গে প্রতিটি জেলায় নাকা চেকিংয়ে রাখা হবে বাহিনীকে ৷ আর কোথাও কোনও গণ্ডগোলের খবর পেলে কমিশনের নির্দেশে বাহিনী সেখানে যাবে ৷
এক কথায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে কার্যত অচল করে রাখার কৌশল নিল প্রশাসন ৷ অবশ্য, বুথে বাহিনীকে মোতায়েন করা হবে না, এমনটা বিজ্ঞপ্তিতে কোথাও উল্লেখ করেনি কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মতো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ৷ কিন্তু, বিরোধীদের দাবি মতো তাদের বুথে নির্বাচন পরিচালনায় ব্য়বহার করা হচ্ছে না ৷ তবে প্রশ্ন উঠছে, 315 কোম্পানি বাহিনীকে না হয় বুথে ব্যবহার করা হবে না ৷ কিন্তু, দ্বিতীয় দফায় যে 485 কোম্পানি বাহিনী চাওয়া হয়েছিল, তার কী খবর ? কমিশন সূত্রে খবর, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সেই 485 কোম্পানি বাহিনী নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে ৷