কলকাতা, 3 এপ্রিল: কোরোনার জেরে সরকারি খরচে রাশ টানার কথা জানাল অর্থ দপ্তর । সরকারি বৈঠকের ক্ষেত্রে খাওয়াদাওয়া যতটা সম্ভব কমাতে হবে । বিমানে যাওয়া আসার ক্ষেত্রে ইকোনমি ক্লাস ব্যবহার করতে হবে । এগজ়িকিউটিভ বা বিজ়নেস ক্লাস ব্যবহার করা যাবে না । পূর্ত, জনস্বাস্থ্য কারিগরির মতো কিছু দপ্তর অর্থ দপ্তরের অনুমতি ছাড়া 1 কোটির বেশি অর্থ খরচ করতে পারবে না । অন্যান্য দপ্তরের ক্ষেত্রে সেটা বেঁধে দেওয়া হয়েছে 10 লাখে । এমনই খবর নবান্ন সূত্রে ।
কোরোনার জের, সরকারি খরচে রাশ টানতে তৎপর অর্থ দপ্তর - finance department
কোরোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সারা দেশজুড়ে লকডাউন চলছে । এ রাজ্যেও জনজীবন স্তব্ধ । কলকারখানা বন্ধ । বন্ধ ব্যবসা-বাণিজ্য । তার ফলে বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে রাজ্যকে । তাই সামগ্রিক পরিস্থিতি সামলাতে গিয়ে রাজ্য সরকার কিছু ক্ষেত্রে খরচের রাশ টানতে চলেছে । নবান্ন সূত্রে জানানো হল এমনিই খবর ।
কোরোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সারা দেশজুড়ে লকডাউন চলছে । এরাজ্যেও জনজীবন স্তব্ধ । কলকারখানা বন্ধ । বন্ধ ব্যবসা-বাণিজ্য । তার ফলে বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে রাজ্যকে । তাই সামগ্রিক পরিস্থিতি সামলাতে গিয়ে রাজ্য সরকার কিছু ক্ষেত্রে খরচের রাশ টানতে চলেছে । পুরো পরিস্থিতি সামলাতে অর্থ দপ্তর সম্প্রতি সব দপ্তরকে খরচ কমাতে একটি বার্তা পাঠিয়েছে । নবান্ন সূত্রে খবর এমনটাই । জানা গেছে, শুধুমাত্র COVID 19 মোকাবিলায় খরচ কমানো হবে না। এই নির্দেশ জুন মাসের 30 তারিখ পর্যন্ত বহাল থাকবে বলে জানানো হয়েছে ।
এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, নতুন করে কোনও রকম প্রকল্প নেওয়া চলবে না । এমনকী পরিকাঠামো গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও কিছু্ বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে । খুব প্রয়োজন না হলে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য মেরামতির কাজ করা চলবে না । শুধুমাত্র জরুরি ভিত্তিতে জনস্বার্থের প্রয়োজনে কিছু প্রকল্প হাতে নেওয়া যেতে পারে । সেক্ষেত্রেও অর্থ দপ্তরের অনুমতি নিতে হবে । যে সব প্রকল্পের কাজ চলছে সেগুলির ক্ষেত্রেও নতুন করে আর কোনও অর্থ বরাদ্দ করা হবে না । এই মুহুর্তে গাড়ি, কম্পিউটার, আসবাবপত্র , তথ্যপ্রযুক্তি সহায়ক যন্ত্রপাতি, A C মেশিন, ওয়াটারকুলার, T V সহ অফিসের প্রয়োজনে কেনা যাবে না । যদি স্কুল, কলেজ, লাইব্রেরি, হাসপাতাল অথবা এধরনের কোনও সংস্থার জন্য নতুন বাড়ি তৈরি করা হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে নতুন জিনিস কিনতে হলে অর্থ দপ্তরের অনুমতি প্রয়োজন । কোনও আধিকারিক তাঁর চেম্বার অথবা তাঁর অফিস বিল্ডিং সাজানো বা মেরামতির কাজ এই মুহুর্তে করতে পারবেন না। এমনকী কোনও আসবাবও কিনতে পারবেন না । অর্থ দপ্তরের বিশেষ অনুমতি ছাড়া কোনও দপ্তর অতিরিক্ত গাড়ি ভাড়া নিতে পারবে না । অর্থ দপ্তরের বিনা অনুমতিতে কর্মী নিয়োগ করা যাবে না । সরকারি বৈঠকের ক্ষেত্রে খাওয়া দাওয়া যতটা সম্ভব কমাতে হবে । বিমানে যাওয়া আসার ক্ষেত্রে ইকোনমি ক্লাস ব্যবহার করতে হবে। এগজ়িকিউটিভ বা বিজ়নেস ক্লাস ব্যবহার করা যাবে না । IAS, IPS এবং IFS দের বাড়ি তৈরির জন্য অগ্রিম অর্থ দেওয়া হবে না । চিকিৎসা, শিক্ষা অথবা বিয়ে ছাড়া অন্য কোনও কারণে কর্মীদের GPF থেকে টাকা তুলতে দেওয়া হবে না । মোটর সাইকেল অথবা কম্পিউটার কেনার জন্য অগ্রিম অর্থ দেওয়া হবে না । নতুন প্রকল্পের ক্ষেত্রে পূর্ত, জনস্বাস্থ্য কারিগরির মতো কিছু দপ্তর অর্থ দপ্তরের অনুমতি ছাড়াই এতদিন 10 কোটি টাকা পর্যন্ত খরচ করতে পারত । অর্থ দপ্তরের নতুন নির্দেশিকায় সেই ক্ষমতা কমিয়ে 1 কোটি টাকা করা হল । অন্যান্য দপ্তরের ক্ষেত্রে এই ক্ষমতা 1 কোটি থেকে কমিয়ে 10 লাখ করা হয়েছে।
তবে এই নতুন নির্দেশিকা বেতন, ভাতা এবং পেনশন দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না । সামাজিক প্রকল্প যেমন রূপশ্রী, কন্যাশ্রী, খাদ্যসাথি, জয় বাংলা, স্বাস্থ্যসাথি, শিক্ষাশ্রীর ক্ষেত্রেও কোনও রকম অর্থ বরাদ্দ কমানো হবে না । এমনকী কেন্দ্রীয় সাহায্যপ্রাপ্ত কোনও প্রকল্পের ক্ষেত্রেও অর্থ বরাদ্দ কমানো যাবে না বলে নবান্ন সূত্রে জানা গেছে ।