কলকাতা, 25 মে: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে এবার জেলে গিয়ে জেরা করতে চায় সিবিআই। বৃহস্পতিবার জীবনকৃষ্ণ সাহাকে আলিপুর সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে পেশ করা হয় ৷ সেখানেই সিবাআইয়ের তরফে তৃণমূল বিধায়ককে সংশোধনাগারে গিয়ে জেরা করতে চাওয়ার আর্জি জানানো হয় ৷ সেই সঙ্গে, জীবনকৃষ্ণের মোবাইল থেকে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলেও আদালতে দাবি করেছে সিবিআই ৷
রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা জীবনকৃষ্ণ সাহাকে গ্রেফতার করেছে। এরপর থেকেই বেশ কয়েকবার সিবিআই হেফাজতের পর অবশেষে বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন জীবনকৃষ্ণ। মূলত নবম এবং দশম শ্রেণীর শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত জীবনকৃষ্ণ সাহাকে এদিন আলিপুরে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে পেশ করা হয়। সেখানেই সিবিআইয়ের তরফে আদালতে আবেদন করা হয়, বর্তমানে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে বন্দি জীবনকৃষ্ণ সাহাকে একাধিক বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান তদন্তকারী আধিকারিকরা। যদিও এদিন দুপুর পর্যন্ত আদালতের তরফে সেই আর্জির বিষয়ে কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি ৷ পাশাপাশি রায়দান পর্বও রিজার্ভ রাখা হয়েছে।
জীবনকৃষ্ণ সাহাকে রাজ্যের নবম এবং দশম শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার করে সিবিআই ৷ কিন্তু তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময়ই তদন্তকারীদের হাত গলে বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি জলাশয়ে নিজের দুটি ফোনই ফেলে দিয়েছিলেন জীবনকৃষ্ণ। সেখান থেকে বিধায়কের দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে সিবিআই। এরপর আদালতের সবুজ সংকেত পাওয়ার পর সেই ফোন দু'টিকে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআইয়ের দাবি, জীবনকৃষ্ণ সাহার দু'টি ফোন পরীক্ষা করে তাদের হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য এসেছে।
আদালতে সিবিআই জানিয়েছে, তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার দুটি ফোন থেকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ডেটা হাতে এসেছে তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের। সেখানে একাধিক ব্যক্তির নাম-পরিচয় সম্পর্কেও তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন। আর সেকারণেই গোয়েন্দারা জীবনকৃষ্ণ সাহাকে জেরা করতে চায় ৷ সিবিআইয়ের তরফে আদালতে আর্জি জানানো হয় সংশোধনাগারে গিয়ে বিধায়কের কাছে তারা জানতে চাইবেন, কোন কোন প্রভাবশালীর সঙ্গে জীবনকৃষ্ণ সাহার যোগাযোগ ছিল ৷ একজন তৃণমূল বিধায়ক হওয়া সত্ত্বেও তিনি কীভাবে এই নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলার সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়লেন, তাও জানতে চায় সিবিআই ৷ এছাড়াও জীবনকৃষ্ণ সাহার মোবাইল ফোন থেকে যে সকল ব্যক্তির নাম পরিচয় পাওয়া গিয়েছে তাদের সম্পর্কেও বিস্তারিতভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই এবার সংশোধনাগারে গিয়ে জীবনকৃষ্ণ সাহাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা।
আরও পড়ুন:নবজোয়ার কর্মসূচিতে শুক্রে ঝাড়গ্রাম যাচ্ছেন অভিষেক, প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে