কলকাতা, 14 অক্টোবর: অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) গরু পাচারের টাকা দেদার খাটানো হতো বিভিন্ন ব্যবসায় । সেই ব্যবসা থেকে বাদ যায়নি প্রমোটিং ব্যবসাও । কয়েক বছর ধরে বোলপুর জেলায় বিশেষ করে অভিজাত এলাকায় রমরিয়ে চলেছে প্রমোটিং ব্যবসা । এবার তেমনই এক প্রোমোটারের সন্ধান পেল সিবিআই । কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার দাবি নিজের কালো টাকাকে সাদা করতে প্রোমোটারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সাহায্য নিতেন অনুব্রত ।
জানা গিয়েছে, গতকাল বোলপুরে প্রোমোটার সৌমেন ওরফে রানা সরকারকে রতনকুঠিতে ডেকে প্রায় ঘণ্টা খানেক ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই (Central Bureau of Investigation)-এর গোয়েন্দারা । এরপরই এই তথ্য জানতে পারেন তদন্তকারী আধিকারিকরা ।
আরও পড়ুন:ফের অনুব্রতর কন্যা ও ভাগ্নেকে তলব করল সিবিআই
জানা গিয়েছে, এই রানা সরকারের সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন এবং আব্দুল লতিফের ওঠা-বসা ছিল । তদন্তে নেমে সিবিআই-এর গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, সংশ্লিষ্ট প্রোমোটারের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা রয়েছে । সিবিআই-এর অনুমান, যেহেতু অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ এই প্রোমোটার ফলে অনুব্রত মণ্ডল তার প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে দিয়ে ওই রানা সরকারের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কয়েক ধাপে কোটি কোটি টাকার লেনদেন করেছিলেন । সেই টাকা দিয়েই রানা বোলপুরে একাধিক প্রোমোটিংয়ের ব্যবসা শুরু করে । অপর একটি ব্যাংক ট্রানজাকশন থেকে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, সেই টাকা সাদা টাকায় রূপান্তরিত করে ফের অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছিল ।
আরও পড়ুন:সুকন্যার সংস্থাকে নোটিশ পাঠাল সিবিআই
ইতিমধ্যেই গরু পাচার কাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল । পাশাপাশি গ্রেফতার হয়েছেন তার প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনও । এই সায়গলের থেকে গোয়েন্দারা রানা সরকার নামে ওই প্রোমোটারের খোঁজ পান বলে নিজাম প্যালেস সূত্রের খবর ।
সিবিআইয়ের অনুমান, গরু পাচারের কালো টাকা সাদা টাকায় পরিণত করতে অনুব্রত মণ্ডল তার যে বিশ্বস্ত বেষ্টনী তৈরি করেছিলেন সেই সকল লোকেদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে সময়মতো সেই টাকা সাদা টাকায় পরিণত করে নিজের অ্যাকাউন্টে লেনদেন করতেন ।