কলকাতা, 29 অগস্ট: তৃণমূল সরকার রাজ্যে ক্ষমতায় আসার তিনবছর পর 2014 সালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী করা হয় । অভিযোগ, সেই থেকেই শুরু । 2014 সালে পার্থ যখন শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে রাজ্যের দায়িত্ব নেন, ঠিক তার দু'বছরের মাথায় অর্থাৎ 2016 সালে রাতারাতি ভোল বদলে যায় পার্থর ভাগ্নি জামাই প্রসন্নের (SSC Recruitment Case) ।
জানা গিয়েছে, 2016 সালে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে রাজারহাটের মোট 200 বিঘা জমি রাতারাতি কিনে ফেলে তাক লাগিয়ে দেন আদতে নারকেলডাঙা মেইন রোডের এক চিলতে ঘরে থাকা প্রসন্ন । তদন্তে নেমে সিবিআই জানতে পেরেছে, 2016 সালে মোট 15 কোটি টাকা দিয়ে রাজারহাটের 200 বিঘা জমি কিনে ফেলে প্রসন্ন রায় ।
আরও পড়ুন:শান্তি প্রসাদ সিনহা ও অশোক সাহার 24 অগস্ট পর্যন্ত সিবিআই হেফাজত
সিবিআই আধিকারিকরা রাজারহাটের ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলেন । তিনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে জানিয়েছেন, নিজের প্রভাব খাটিয়ে সংশ্লিষ্ট জমির যে বাজারমূল্য, তার থেকে অনেক কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য করেছিল প্রসন্ন । সৌজন্যে তার দূর সম্পর্কের তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ।
শুধু রাজারহাটে 15 বিঘা জমি নয়, বরং পার্থ-ঘনিষ্ঠ প্রসন্নর বাঙ্গুর অ্যাভিনিউ, লেকটাউন, হাওড়ার গ্রামীণ এলাকা-সহ দার্জিলিং, উত্তরাখণ্ড, দিঘায় রয়েছে একাধিক হোটেল, রিসর্ট । এই অল্প সময়ের ব্যবধানে কীভাবে একজন ব্যক্তি কোটি কোটি টাকার সাম্রাজ্যের মালিক হতে পারলেন তাতেই চোখ কপালে উঠেছে সিবিআইয়ের ।
অভিযোগ, 2014 সাল থেকেই যখন পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন, সেই সময় থেকেই শিক্ষা দুর্নীতি কাণ্ডের বীজ এ রাজ্যে বপণ হতে শুরু করে দিয়েছিল । শুধু প্রসন্ন রায় নয়, বরং প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর একাধিক আত্মীয় এই শিক্ষাদুর্নীতি কাণ্ডে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত রয়েছে ।