কলকাতা, ২৯ অগস্ট: তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস ছিল কাল । সেই উপলক্ষ্যে মেয়ো রোডে সমাবেশের আয়োজন করেছে শাসক দলের ছাত্র সংগঠন (Campaign Against TMCP Programme)। ঠিক সেই সময় সোশাল মিডিয়ায় ক্যাম্পেন শুরু করলেন মেধা-তালিকাভুক্ত চাকরি প্রার্থীরা । মোট 7 দফা দাবি রাখা হয়েছে 2018 সিএসসি এম্পানেলড ক্যান্ডিডেটস অর্গানাইজেশন (Empaneled Candidates Organization)-এর তরফে ।
সামাজিক বার্তায় তারা বলছেন, "আজ 29 অগস্ট ৷ গান্ধি মূর্তির পাদদেশে ছাত্র (যুব) সভায় যাচ্ছেন? আপনারা কী এই তথ্যগুলি জানেন?
১. এই রাজ্যে প্রাইমারি, হাইস্কুল, কলেজে কয়েক লক্ষ শিক্ষকের শূন্যপদ পড়ে রয়েছে । অথচ বেকারত্বের যন্ত্রণায় কুরেকুরে মরছেন শিক্ষিত যুবকরা । তাঁদের নিয়োগের বিষয়ে সরকারের কোনও উদ্যোগ নেই ।
২. প্রকৃত শিক্ষা না দিয়ে ভিক্ষা দেবার নীতি গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার ।
সোশাল মিডিয়ায় ক্যাম্পেন বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের ৩. সমস্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কে দুর্নীতির অভিযোগ আছে । কিছু কিছু প্রমাণও হয়েছে । নিয়োগ দুর্নীতিতে আরও অসংখ্য মামলা আদালতে বিচারাধীন ।৪. অযোগ্য, কম যোগ্যদের দুর্নীতি করে, টাকার বিনিময়ে চাকরি দিয়েছে । অধিক যোগ্যরা সর্বত্র বঞ্চিত হয়েছে ।৫. দুর্নীতির কারণে বঞ্চিত-যোগ্য-মেধা তালিকাভুক্তদের নিয়োগে সরকারের উদ্যোগ নেই । অথচ নতুন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কোটি কোটি টাকা তুলতে চেষ্টা করছে এই সরকার ।৬. আইনি জটিলতা না থাকলেও আইনি জটিলতার নাম করে নিয়োগ করছে না । কিংবা নিজেরাই কেস করে বছরের পর বছর নিয়োগকে থমকে রেখে 'সিভিক' পদ্ধতিতে সমস্ত দফতর চালানোর চেষ্টা করছে ।৭. যুবকদের চাকরি না দিয়ে, কর্মচারীদের ডিএ না দিয়ে সেই টাকা ব্যয় করা হচ্ছে খেলা, মেলা, অনুদান ও সরকারের প্রচারে (অথচ সরকারের নাকি টাকা নেই!)
আরও পড়ুন:সমাবেশের আগের দিন সভামঞ্চ পরিদর্শন অভিষেকের
এই সংগঠন (Empaneled Candidates Organization)এর সহ-সভাপতি এসএ হামিদ বলেন, "রাজ্যের প্রায় 450 অধিক সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত কলেজে স্থায়ী শিক্ষকের শূন্যপদের সংখ্যা প্রায় 30 হাজার । অথচ, 2018 কলেজ সার্ভিস কমিশনে দুর্নীতির কারণে প্রায় 600 জনের অধিক মেধা তালিকাভুক্ত প্রার্থী নিয়োগ পাননি । প্রাতিষ্ঠানিকভাবে দুর্নীতি করে, তাদের বঞ্চিত করা হয়েছে । আর, এই দুর্নীতি ঢাকতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে রাজ্যের শিক্ষা দফতর এবং কলেজ সার্ভিস কমিশন । অন্যদিকে, রাজ্যের কলেজেগুলিতে যোগ্য-পূর্ণ সময়ের স্থায়ী শিক্ষকের অভাবে ব্যাহত হচ্ছে পঠন-পাঠন প্রক্রিয়া । আর মান সম্পন্ন শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বাংলার ছাত্র যুব সম্প্রদায় । আজ এর দায় রাজ্য সরকারকে নিতে হবে ।"