পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

বিশ্ববিদ্যালয় খোলার একমাস পরে চূড়ান্ত সেমেস্টারের পরীক্ষা : কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় - চূড়ান্ত সেমেস্টার পরীক্ষা নিয়ে বিজ্ঞপ্তি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের

বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দিন থেকে একমাস পরেই স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের চূড়ান্ত সেমেস্টারের পরীক্ষা নেওয়া হবে । বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেবাশিস দাসের তরফে গতকাল এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে । পাশাপাশি, লকডাউন ওঠার 10 দিনের মধ্যে কলেজগুলিকে জীবাণুমুক্ত করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে ।

Calcutta University
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়

By

Published : May 12, 2020, 11:55 AM IST

কলকাতা, 12 মে : লকডাউন ওঠার পর পরীক্ষা নেওয়ার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে একমাস সময় দিতে হবে। শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে এমনটা আগেই জানিয়েছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালী চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় । এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কলেজগুলিকেও সেকথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে । বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দিন থেকে একমাস পরেই স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের চূড়ান্ত সেমেস্টারের পরীক্ষা নেওয়া হবে । বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেবাশিস দাসের তরফে গতকাল এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে । পাশাপাশি, লকডাউন ওঠার 10 দিনের মধ্যে কলেজগুলিকে জীবাণুমুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, পরীক্ষা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এই একমাস সময় দেওয়া হয়েছে কলেজগুলিকে । এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয় ও অধীনস্ত কলেজগুলিকে লকডাউন ওঠার 10 দিনের মধ্যে জীবাণুমুক্ত করতে হবে । বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে নির্দেশ দেওয়া হলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে কলেজগুলি এক মাসের মধ্যে পরীক্ষা নিতে কতটা প্রস্তুত ?

বর্তমান পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নেওয়ার পদ্ধতি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো একাধিক বিষয় নিয়ে সংশয়ে রয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষগুলি । কিন্তু তা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশ মেনেই তারা প্রস্তুত হবে বলে জানাচ্ছে ।

সুরেন্দ্রনাথ কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল কর বলেন, "আমি এখনও বুঝতে পারছি না কীভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে ? পড়ুয়াদের তো আমাদের অ্যাকোমোডেট করতে হবে । তাঁদের সুরক্ষিতও রাখতে হবে । এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় । এটা আমাদের কাছে নতুন চ্যালেঞ্জ । আমাদের অবশ্যই এর মোকাবিলা করার চেষ্টা করতে হবে । বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশ এলে আমাদের সেটা অবশ্যই মানতে হবে । কিন্তু, কীভাবে হবে জানি না । আমরা যেসব সমস্যার সম্মুখীন হব সেগুলি অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়কে জানাব । ছাত্রদের স্বার্থে করতে তো হবেই । তবে, কী করে করব সেটা নিয়ে আমি খুব সংশয়ে রয়েছি । "

জয়পুরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ অশোক মুখোপাধ্যায় বলেন, "এটা শুধু আমার কলেজের ক্ষেত্রে নয় । প্রশ্ন তৈরি করা থেকে শুরু করে পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট কাজগুলি করার জন্য পশ্চিমবঙ্গের সব কলেজকেই প্রস্তুত থাকতে হবে । পড়াশোনা তো থেমে থাকলে হবে না । আমাদের কাছে যা নির্দেশ আসবে আমরা সেগুলোই মেনে চলব । প্রস্তুত আমরা হয়ে যাব । ইতিমধ্যেই আমরা মানসিকভাবে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করে দিয়েছি । অনলাইনে বৈঠক করছি ।"

বাসন্তীদেবী কলেজের অধ্যক্ষা ইন্দ্রিলা গুহ বলেন, "লকডাউন ওঠার পর কবে কলেজ খুলবে সেই নির্দিষ্ট দিনটা কিন্তু এখনও পাইনি । যেদিন খুলবে সেই দিন থেকে একমাস ধরে পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে । বিশ্ববিদ্যালয় যেমন নির্দেশ দেবে সেটা আমাদের মেনে চলতেই হবে । আমাদের এখানে কোনও চয়েস নেই । তবে, হোম সেন্টারে পরীক্ষা হওয়ার কথা শুনেছি । সেটা হলে অনেকটা সুবিধা হবে ।"

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদিও হোম সেন্টারে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করতে চাননি । অন্যদিকে, কলেজ ক্যাম্পাস স্যানিটাইজ় করার ক্ষেত্রে পৌরনিগমের সহযোগিতা লাগবে বলে জানাচ্ছেন অধিকাংশ কলেজ কর্তৃপক্ষ । জয়পুরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ অশোকবাবু বলেন, "স্যানিটাইজ় করাটাই মূল কাজ । আমার কলেজে যে স্টাফ ও সাফাইকর্মীরা আছেন তাঁরা অতটা দক্ষতার সঙ্গে এই কাজটা করতে পারবেন কি না তা নিয়ে সন্দেহ আছে । সেক্ষেত্রে পৌরনিগমের থেকে পরামর্শ নেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করছি ।"

সুরেন্দ্রনাথ কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীলবাবু বলেন, "কলেজ খুললেই স্যানিটাইজ় করতে হবে । আমাদের এত বড় বিল্ডিং । আমি ভেবেছি পৌরনিগমকে অনুরোধ করব । তারা এবং আমাদের কর্মীরা মিলে কাজটা করলে আরও বেশি সুবিধা হবে । "

বাসন্তীদেবী কলেজের অধ্যক্ষা বলেন, "আমাদের এর আগে একবার কলেজ স্যানিটাইজ় করা হয়েছিল । লকডাউন উঠলে ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের সঙ্গে কথা বলে আবার স্যানিটাইজ় করার চেষ্টা করব ।"

ABOUT THE AUTHOR

...view details