কলকাতা, 21 অগস্ট: সোমবার থেকে বন্ধ হওয়ার কথা ছিল কলকাতা স্টক এক্সচেঞ্জের। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশে সাময়িক স্বস্তি। আপাতত বন্ধ হচ্ছে না কলকাতা স্টক এক্সচেঞ্জ। সম্প্রতি সেবি একটি নিষেধাজ্ঞা জারি করে আজ অর্থাৎ সোমবার থেকে এক্সচেঞ্জ বন্ধ করার নির্দেশ দেয়।
সেবির সেই বিজ্ঞপ্তির উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেছে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের বেঞ্চ। ফলে এদিন থেকে স্টক এক্সচেঞ্জ বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হয়েছিল, তা আপাতত হচ্ছে না।
যদিও সেবি কলকাতা স্টক এক্সচেঞ্জের নিজস্ব ট্রেডিং প্লাটফর্ম 2021 সাল থেকে স্থগিত করে রেখেছে। বর্তমানে সেই মামলাও হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে বিচারাধীন রয়েছে। ফলে সেই সময় থেকেই কলকাতার স্টক লেনদেনকারী বা ট্রেডাররা ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে ট্রেডিং চালিয়ে আসছে। এরপর চলতি বছর 19 জুলাই সেবি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, কলকাতা স্টক এক্সচেঞ্জকে নিজের এক্সচেঞ্জ বাঁচাতে যে পরিকাঠামো গড়তে বলা হয়েছিল, তারা তা করতে ব্যর্থ ৷ সেবির দাবি, পরিকাঠামো নিয়ে 2019 সালে একটি পৃথক গাইড লাইন তৈরি করা হয়েছিল। অন্য সব রাজ্য সেই গাইড লাইন মেনে নিলেও কলকাতা এক্সচেঞ্জ সেই গাইড লাইনকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে।
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে নিজাম প্যালেসে জিজ্ঞাসাবাদ 50 জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে
Cal Stock Exchange not Closing: বন্ধ হচ্ছে না কলকাতা স্টক এক্সচেঞ্জ, সেবি'র নোটিশের উপর স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের - বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য
আপাতত বন্ধ হচ্ছে না কলকাতা স্টক এক্সচেঞ্জ ৷ সেবি'র নোটিশের উপর স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের ৷ স্থগিতাদেশ জারি করে আদালত নিজের পর্যবেক্ষণে জানায়, 30 দিনের সময়সীমা বেঁধে নোটিশ দিলেও, ত্রুটিমুক্ত হওয়ার জন্য সেবি কোনও সময় দেয়নি। তাই ওই নোটিশ একপেশে বলে মনে করছে আদালত।
নিজস্ব ট্রেডিং প্লাটফর্ম তৈরির সময়সীমা বেধে দিয়ে গত 19 জুলাই কলকাতা স্টক এক্সচেঞ্জকে সেবি 30 দিনের নোটিশ দেয়। তার মেয়াদ এদিন শেষ হওয়ার কথা ছিল ৷ এবং সেই নোটিশ অনুযায়ী কলকাতা স্টক এক্সচেঞ্জের কাজও বন্ধ হওয়ার কথা ছিল এদিন থেকেই ৷ যদিও সেবি'র সেই নোটিশেই স্থগিতাদেশ জারি করেছে ৷ এদিন স্থগিতাদেশ জারি করে আদালত নিজের পর্যবেক্ষণে জানায়, 30 দিনের সময়সীমা বেঁধে নোটিশ দিলেও, ত্রুটিমুক্ত হওয়ার জন্য সেবি কোনও সময় দেয়নি। তাই ওই নোটিশ একপেশে বলে মনে করছে আদালত। বিচারপতি দু'পক্ষকেই হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ছয় সপ্তাহ পর মামলার পরবর্তী শুনানি।