কলকাতা, 26 অক্টোবর:বিএসসি ও এমএসসি নার্সিং-এ ভর্তির কাউন্সেলিং প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট । স্বাস্থ্য দফতরের অধিকর্তাকে আপাতত 30 অক্টোবরের কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত ৷ আগে দফতরকে আদালতে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে তাদের বক্তব্য । তারপর হাইকোর্ট অনুমতি দিলে তবেই ফের শুরু করা যাবে কাউন্সেলিং ।
বিএসসি, এমএসসি নার্সিং-এ ভর্তির পরে শূন্যপদ কীভাবে তৈরি হল, তা রাজ্যের আইনজীবীর কাছে জানতে চাইলেন বিচারপতি । শূন্যপদ তৈরির ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে হলফনামা দিতে বলা হয়েছে রাজ্য সরকারকে । বিএসসি-তে 57 এবং এমএসসি-তে 52টি নতুন শূন্যপদ তৈরি হয়েছে । মেধার ভিত্তিতে যাঁরা আগে ছিলেন, তাঁদের বিষয়ে স্বাস্থ্য দফতর কী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সেটাও জানাতে হবে আদালতকে ।
বিএসসি এবং এমএসসি নার্সিং-এ ভর্তির ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে । আগের দিকে র্যাঙ্ক থাকা প্রার্থীদের দূরের কলেজ দিয়ে তুলনায় র্যাঙ্কের পেছন দিকে থাকা প্রার্থীদের কাছাকাছি ভর্তির সুযোগ কেন দেওয়া হচ্ছে, এই প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন একাধিক প্রার্থী । বিচারপতি তীর্থংকর ঘোষ এ বিষয়ে গতকাল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের বক্তব্য জানতে চেয়েছিলেন ।
এ দিন রাজ্যের আইনজীবী জানান, 30 অক্টোবর পর্যন্ত ছুটির কারণে তাঁর পক্ষে এখনই রিপোর্ট দেওয়া সম্ভব নয় । তাই 1 নভেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট তৈরি করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত । 2 নভেম্বর ফের এই মামলার শুনানি হবে । ইতিমধ্যে ডিরেক্টর অফ হেলথ সার্ভিসকে কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।
জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে থেকে জুন মাসে কাউন্সেলিং করা হয় । সেখানে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একধিক জেলার বহু প্রার্থীকে উত্তরবঙ্গ, বাঁকুড়া, বীরভুমের দিকের কলেজ দেওয়া হয়েছে ৷ কারণ কাছাকাছি কোনও মেডিক্যাল কলেজে শূন্যপদ ছিল না । কিন্তু পরে 5 অক্টোবর ফের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নতুন করে বিএসসিতে 57 টি ও এমএসসিতে 52টি শূন্যপদের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর । কিন্তু বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আগেই যাঁরা ভর্তি হয়ে গিয়েছে, তাঁরা নতুন করে এই কাউন্সেলিং-এ অংশগ্রহণ করতে পারবেন না ।