পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় 9 জানুয়ারির মধ্যে তদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্ট দেবে সিবিআই, নির্দেশ হাইকোর্টের - inal investigation report

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আগামী 9 জানুয়ারির মধ্যে তদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে সিবিআইকে ৷ নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের ৷

Calcutta High Court
নিয়োগ দুর্নীতি মামলা

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Dec 6, 2023, 12:57 PM IST

Updated : Dec 6, 2023, 1:15 PM IST

কলকাতা, 6 ডিসেম্বর:শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় 9 জানুয়ারির মধ্যে সিবিআইকে তদন্তের চুড়ান্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে কলকাতা হাইকোর্টে ৷ আজ এই নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি সব্বার রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ । শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মতো আগামী 9 জানুয়ারি দু'মাসের সময়সীমা পূর্ণ হচ্ছে ।

আদালতের আরও নির্দেশ, যাঁরা 2016 সাল থেকে চাকরি করছেন এবং চাকরি নিয়ে প্রশ্নের মুখে নতুন করে মামলায় যুক্ত হয়েছেন, তাঁদের 18 ডিসেম্বরের মধ্যে নিজেদের বক্তব্য জানানোর জন্য নোটিশ দিতে হবে ৷ ডিসেম্বরের বেতন দেওয়ার আগে তাঁদের সবাই নোটিশ পেয়েছেন কি না তা দেখে নিয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশন তাঁদের দিয়ে স্বাক্ষর করিয়ে নেবে । চার জানুয়ারির মধ্যে মামলাকারীরা এঁদের বক্তব্যের পালটা উত্তর দেবেন । নয় জানুয়ারির পর নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত সমস্ত মামলার শুনানি শুরু হবে ডিভিশন বেঞ্চে ।

এ দিনের শুনানিতে রাজ্যের তরফে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম উল্লেখ না করলেও রীতিমতো ক্ষোভ উগড়ে দেন তাঁর বিরুদ্ধে । তিনি বলেন, "কোনও অনুমানের ভিত্তিতে দুর্নীতি আছে বলে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া যায় না । বিচারবিভাগীয় জুলুমবাজি যাকে বলে, সেটাই করেছে সিঙ্গল বেঞ্চ । কারও কথা শোনা হয়নি । সিবিআইয়ের জুজু দেখানো ছাড়া সিঙ্গল বেঞ্চের আর কোনও উদ্দেশ্য যেন ছিল না । রাজ্যের টাকা সবার টাকা । রাজ্য তো চায়নি চাকরি যাক । তাহলে কে চাইছে চাকরি যাক ?" প্রশ্ন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের । তাঁর দাবি, সবার বক্তব্য আগে ভালো করে শোনা হোক ।

সিবিআইয়ের তরফে আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য জানান, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল দু'মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে হবে । রিপোর্ট এখনও আসেনি । এলেই আদালতে পেশ করা হবে । শুনানিতে বিচারপতি দেবাংশু বসাক বলেন, আদালত যাঁর পক্ষেই চূড়ান্ত নির্দেশ দিক না কেন তার ফলে বহু শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মচারী প্রভাবিত হবেন । যাঁরা আদালতে আসেননি তাঁদেরও জানানো দরকার যে, আদালতে মামলা বিচারাধীন । তাঁদের নোটিশ দেওয়া দরকার ।

বিচারপতি জানতে চান, যদি দেখা যায় যে, এই নিয়োগ বেআইনিভাবে হয়েছে, তাহলে এই গোটা প্রক্রিয়ার ব্যয়ভার কে বহন করবে ? তাঁর কথায়, "আগামী 9 জানুয়ারি যে রিপোর্ট সিবিআইয়ের দেওয়ার কথা রয়েছে, সেটা খতিয়ে দেখে আমরা যদি দেখতে পাই যে দুর্নীতি হয়েছে তাহলে কী হবে ?"

রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সিবিআই তদন্ত করবে ৷ যাঁরা চাকরি পেয়েছেন তাঁরা সবাই তো দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন না । যাঁরা দোষ করেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে । কিন্তু সবার চাকরি কেন যাবে ? ইতিমধ্যেই অনেকে জেলে আছেন, টাকা উদ্ধার হয়েছে । কিন্তু কেউ কি বলতে পারবে যে ওই টাকা শিক্ষকের চাকরি দেওয়ার জন্য নেওয়া হয়েছিল ? 9 জানুয়ারি সিবিআইয়ের রিপোর্ট দেখার পর শুরু হবে এই সমস্ত মামলার শুনানি ।

আরও পড়ুন:

  1. আদালতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্স নেই যে সুইচ টিপলেই কাজ হয়ে যাবে, মন্তব্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের
  2. অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর মুখ হিসেবে প্রার্থী হলে আমি ভোট দেব, বললেন অধীর
  3. প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের
Last Updated : Dec 6, 2023, 1:15 PM IST

ABOUT THE AUTHOR

...view details