কলকাতা, 21 নভেম্বর : কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতির সংখ্যা 40 । তার মধ্যে চার-পাঁচ জন চলে যান আন্দামান ও জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে । তাই জমতে জমতে মামলার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় 2 লাখ 30 হাজার । এই পরিস্থিতিতে জমে থাকা মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করতে বিকল্প পথ খুঁজে বের করল কলকাতা হাইকোর্ট । বিচারপতি নয়, মধ্যস্থতার মাধ্যমে ফয়সালা হবে জমে থাকা মামলার । শুধু তাই নয়, এক্ষেত্রে আবেদনকারীকে কোনও খরচও দিতে হবে না ।
আদালত জমে থাকা মামলার নিষ্পত্তির জন্য মধ্যস্থতাকারীর উপর জোর দেওয়া শুরু হয়েছে । গোটা বিশ্বজুড়ে এই নিয়ম চালু হয়েছে ৷ সেই পথে হাঁটতে চলেছে কলকাতা হাইকোর্টও ৷ এবিষয়ে রাজ্যের মানুষকে অবগত করতে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জেলায় সচেতনতা শিবিরেরে আয়োজন করেছিল হাইকোর্ট কর্তৃপক্ষ । গতকাল সাংবাদিক সম্মেলন করে মধ্যস্থতাকারীর বিষয়টি জানালেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ।
কে এই মধ্যস্থতাকারী ? তার ভূমিকাই বা কী ?
বিচারপতি জানান, এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মামলার দু'পক্ষই বসে চিন্তাভাবনা করে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করতে পারে । আবেদনকারীদের আইনজীবী থাকা বাধ্যতামূলক নয় । থাকবেন না বিচারপতিও । তবে, হাইকোর্টের তরফে একজন আইন বিশারদ নিযুক্ত করা হবে । তিনিই সংশ্লিষ্ট মামলায় দু'পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করবেন । এই আইন বিশারদই পরিচিত হবেন মধ্যস্থতাকারী হিসেবে । এই মধ্যস্থতাকারীদের একটি প্যানেল তৈরি করা হবে । সেই প্যানেলে বিভিন্ন বিষয় সংক্রান্ত আইন বিশারদ থাকবেন । পরে মামলা অনুযায়ী ওই প্যানেল থেকে একজন আইন বিশারদকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নিযুক্ত করা হবে ।
বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন বলেন, "এখানে কোনও হার-জিতের ব্যাপার নেই । দু'পক্ষই এখান থেকে জিতে বেরোতে পারবেন । আবেদনকারীকে কোনও খরচ দিতে হবে না । স্টেট লিগাল সার্ভিস অথোরিটি সমস্ত খরচ বহন করবে । গোটা রাজ্যে যেহেতু এই সংগঠন রয়েছে তাই সকল মানুষই এই সুযোগ গ্রহণ করতে পারবেন ।"