কলকাতা, 5 সেপ্টেম্বর:রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলগুলিতে আরও 10 হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল হবে নাকি তা বহাল থাকবে এই বিষয়ে দায়ের হওয়া মামলা শুনবেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই কর্মরত প্রাথমিক শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা প্রশিক্ষণের শর্ত ঠিকঠাক না মেনেই চাকরি পেয়ে গিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি এক নির্দেশে বলেছে, বিএড ডিগ্রি প্রাপ্তরা আর প্রাথমিকে চাকরি করতে পারবেন না ৷ এই নির্দেশকে হাতিয়ার করেই বিএড ডিগ্রিধারী 10 হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের দাবি জানিয়ে মঙ্গলবার মামলা দায়ের হল হাইকোর্টে ।
অভিযোগ, এই শিক্ষকদের নিয়োগ করা হয়েছিল 2020 সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। এঁদের এখনও ব্রিজ কোর্স করানো হয়নি বলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ডেপুটি সেক্রেটারি জানিয়েছেন। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রাথমিক শিক্ষকেরা প্রত্যেকেই বিএড প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। প্রাথমিকের শিক্ষক হওয়ার জন্য যে ডিএলএড ডিগ্রি লাগে, তা এঁদের নেই । নিয়ম অনুযায়ী উচ্চপ্রাথমিক বা তার উপরের স্তরের স্কুলে চাকরির জন্য লাগে বিএড প্রশিক্ষণ । কিন্তু 2018 সালে জাতীয় শিক্ষণ পর্ষদ একটি নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করে । তারা জানায়, বিএড প্রশিক্ষিতরাও প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন । কিন্তু চাকরি পাওয়ার এক বছরের মধ্যে তাঁদের একটি ছ’মাসের ব্রিজ কোর্স করতে হবে ।
মামলাকারীদের অভিযোগ, এই 10 হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের প্রত্যেকেই বিএড প্রশিক্ষিত হলেও নিয়ম অনুযায়ী ব্রিজ কোর্স করেননি। ফলে নিয়মানুযায়ী তাঁরা প্রাথমিকের শিক্ষক হওয়ার যোগ্য নন। মিতালি রায় নামে এক চাকরী প্রার্থী-সহ মোট 333 জন প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থী মঙ্গলবার একটি মামলা করেছেন কলকাতা হাইকোর্টে। তাঁদের বক্তব্য , এই শিক্ষকদের নিয়োগ করা হয়েছিল 2020 সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। এঁদের যে ব্রিজ কোর্স হয়নি, তা স্বীকার করেছেন স্বয়ং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ডেপুটি সেক্রেটারি।