কলকাতা, 8 জুন: রাজ্যে 2 হাজার বন সহায়ক পদে নতুন ইন্টারভিউ নেওয়া যাবে না ৷ বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের একক বেঞ্চের নির্দেশের ওপর এমন স্থগিতাদেশ দিল ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি ভিএম ভেলুমানির ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে আগামী 6 জুলাই পর্যন্ত।
বন সহায়ক পদে চুক্তিভিত্তিক বা অস্থায়ী 2 হাজার পদে নতুন করে ইন্টারভিউ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশ ছিল, আগামী 2 মাসের মধ্যে ইন্টারভিউ নিয়ে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। ইতিমধ্যেই রাজ্য নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে। গত 29 মে বন সহায়ক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করার অনুমতি দেয় বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ।
বন সহায়ক পদে চুক্তিভিত্তিক বা অস্থায়ী 2 হাজার জনের চাকরির প্যানেল অবৈধ বলে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশ ছিল 2 মাসের মধ্যে পুরোনো প্যানেল বাতিল করে ইন্টারভিউ নিয়ে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। নতুন প্যানেল প্রকাশ করে চাকরি দিতে হবে। 22 জুলাই, 2020 বন সহায়ক পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। দু'হাজার পদে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয় । পাঁচটি প্রশাসনিক ডিভিশনে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় প্রেসিডেন্সি, মেদিনীপুর, বর্ধমান, মালদা ও জলপাইগুড়ি ডিভিশনে।
আরও পড়ুন:বন সহায়ক পদে চাকরির প্যানেল বাতিল নিয়ে দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ হাইকোর্টের
বয়সের সময়সীমা ছিল 1980 থেকে 2001 সালের জানুয়ারির মধ্যে 18 থেকে 80 বছরের মধ্যে। বয়সের সীমায় তফশিলি জাতিভুক্ত ও উপজাতি ভুক্তদের জন্য পাঁচ বছরের ছাড়ও দেওয়া হয়। নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য প্রতিটি সার্কেলে তিনজন চিফ কনজারভেটর অফ ফরেস্ট, দুই বিভাগীয় বন আধিকারিক বা ডেপুটি কনজারভেটর অফ ফরেস্ট থাকার কথা ছিল। প্রতিটি কমিটির এক্তিয়ার সম্পর্কেও ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা ছিল। কিন্তু অভিযোগ ওঠে নিয়ম মেনে নিয়োগ করা হয়নি। নিয়োগ প্রক্রিয়া বৈধ ও স্বচ্ছভাবে হয়নি। মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। যারা মনোনীত হয়েছিলেন তাঁদের ব্যক্তিগতভাবে মেসেজ দিয়ে জানানো হয়।