কলকাতা, 25 অক্টোবর: নতুন তিন বিচারপতি পেল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী 2 নভেম্বর এই তিন বিচারপতি কলকাতা হাইকোর্টে শপথ গ্রহণ করবেন। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের সচিবালয় থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই বিষয়ে জানানো হয়েছে। এই তিন বিচারপতি হলেন, বিচারপতি সূর্যপ্রকাশ কেশরওয়ানী, বিচারপতি এমভি মুরলিধরন এবং বিচারপতি মধুরেশ প্রসাদ। ফলে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সংখ্যা দাঁড়াবে 55 জন। যদিও এর মধ্যে বিচারপতি লাপিতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি শেখর ববি শরাফের ভিন রাজ্যে খুব শীঘ্রই বদলি হয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। সুপ্রিমকোর্ট কলেজিয়াম এই দুই বিচারপতির নাম ইতিমধ্যেই অন্যান্য হাইকোর্টের বিচারপতি হিসাবে সুপারিশ করেছে।
বিচারপতি সূর্যপ্রকাশ কেশরওয়ানী এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলেন। 1985 সালে এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। 1985 সালের 11 অগস্ট তিনি আইনজীবী হিসাবে কাজ শুরু করেন। মুলত ট্যাক্স এবং সাংবিধানিক বিষয়েই তিনি প্র্যাকটিস করতেন। এরপর 2013 সালের 12 এপ্রিল বিচারপতি হিসাবে মনোনীত হন তিনি। পরে 2014 সালের 2 অগস্ট পূর্ণ সময়ের বিচারপতি হন কেশরওয়ানী। অন্যদিকে, বিচারপতি মধুরেশ প্রসাদ ছিলেন পটনা হাইকোর্টের বিচারপতি। 2017 সালের মে মাসে তিনি পটনা হাইকোর্টের বিচারপতি হিসাবে মনোনীত হন। গত 3 অগস্ট 2023 সালে সুপ্রিমকোর্ট কলেজিয়াম তার বদলির সুপারিশ করে পটনা হাইকোর্ট থেকে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হিসাবে।
Cal HC New Justice: নতুন 3 বিচারপতি পেল কলকাতা হাইকোর্ট
কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের সচিবালয় থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে নতুন তিন বিচারপতির নাম জানানো হয়। এই তিন বিচারপতি হলেন বিচারপতি সূর্যপ্রকাশ কেশরওয়ানী, বিচারপতি এমভি মুরলিধরন এবং বিচারপতি মধুরেশ প্রসাদ। এর ফলে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সংখ্যা দাঁড়াবে 55 জন।
Published : Oct 25, 2023, 10:10 PM IST
আরও পড়ুন: সংশোধিত আইন না মানায় জাতীয় সড়কের জন্য জমি অধিগ্রহণে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের
মণিপুরের মেইতি সম্প্রদায়কে আদিবাসী মর্যাদা দেওয়ার রায় দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সমালোচনার মুখে পরা সেখানকার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এমভি মুরলীধরনকে কিছুদিন আগে কলকাতা হাইকোর্টে বদলির সুপারিশ করে সুপ্রিমকোর্ট কলেজিয়াম। গত এপ্রিল মাসে তাঁর দেওয়া এই নির্দেশের পরেই আদিবাসী এবং অ-আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। যা নিয়ে শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হয়। তারপরেই দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সিদ্ধার্থ মুকুলকে মণিপুর হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে পাঠায় কেন্দ্রীয় সরকার।