আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্তর বক্তব্য কলকাতা, 1 মার্চ: নবম-দশমে চাকরিহারাদের অস্বস্তি বহাল রইল ডিভিশন বেঞ্চেও । কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ । স্কুল সার্ভিস কমিশনের (School Service Commission) দেওয়া হিসাবে 805 জন শিক্ষকের চাকরি গিয়েছিল বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর (Justice Biswajit Basu) সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে । বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতীম ভট্টাচার্যর ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের উপর কোনও স্থগিতাদেশ দিল না বুধবার । সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে কোনও হস্তক্ষেপ করল না ডিভিশন বেঞ্চ । সিঙ্গল বেঞ্চই মামলার নিষ্পত্তি করবে ।
আদালতের পর্যবেক্ষণ, স্বাভাবিক ন্যায় কোনও সরল বিষয় নয় । ওএমআর শিট বিকৃতি হয়নি বা এটা তাঁদের নয় বলে কোনও মামলাকারী বলেননি । প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব আইনে চলার ক্ষমতা আছে । সেক্ষেত্রে কমিশন মনে করলে চাকরি থাকবে না ৷ সিঙ্গল বেঞ্চের এই নির্দেশেই সিলমোহর ডিভিশন বেঞ্চের ।
নবম-দশমে ওএমআর শিট কারচুপি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু প্রায় 952 জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিলেন স্কুল সার্ভিস কমিশনকে । তারপরই স্কুল সার্ভিস কমিশন প্রায় 800 জন প্রার্থীর চাকরি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয় । সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরিহারা প্রার্থীরা ।
তাঁদের যুক্তি ছিল সিবিআই আদালতে যে তথ্যের ভিত্তিতে তাদের যুক্তি খাড়া করেছে, সেই তথ্যের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে । পাশাপাশি এখনও তদন্ত সম্পূর্ণ হয়নি ৷ তাহলে কিসের ভিত্তিতে সিঙ্গল বেঞ্চ চাকরি থেকে বরখাস্তের নির্দেশ দিল ? সিবিআই গাজিয়াবাদ থেকে যে বিকৃত ওএমআর শিট সংগ্রহ করেছে, তা ইলেকট্রনিক প্রমাণপত্র । তা যেকোনও সময় বিকৃত করা যায় । এই তথ্যের ভিত্তিতে কারও চাকরি কেড়ে নেওয়া যায় না । কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চ তাঁদের যুক্তিকে আমলই দিল না ৷
আরও পড়ুন:মাধ্যমিকের মধ্যে শিক্ষকদের চাকরি বাতিল হলে প্রভাব পড়বে পরীক্ষায়, মন্তব্য বিচারপতির