কলকাতা, 6 মার্চ:বাড়ি থেকে স্কুলে যাতায়ার করতে রোজ পাড়ি দিতে হয় 120 কিলোমিটার (যাওয়া-আসা মিলিয়ে) ! সেই ঝঞ্ঝাটের হাত থেকে রেহাই পেতে বদলির আবেদন জানিয়েছিলেন মালদার একটি সরকারি স্কুলের দুই শিক্ষক ৷ একবার কিংবা দু'বার নয়, পরপর 14 বার এই আবেদন করেছিলেন তাঁরা ৷ তারপরও সেই আবেদন গ্রাহ্য করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ৷ বাধ্য হয়েই কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন ওই দুই শিক্ষক ৷ সোমবার দুই শিক্ষকেরই আবেদন (Transfer Application by two School Teachers) খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায় ৷ সোমবার স্কুল শিক্ষা দফতরকে এই নির্দেশ দেন তিনি ৷
নিয়ম অনুসারে, যে কোনও স্কুলে কোনও শিক্ষক বা শিক্ষিকা 5 বছর চাকরি করার পর তিনি অন্যত্র বদলির জন্য আবেদন করতে পারেন ৷ সেই আবেদন তখনই মঞ্জুর হবে, যখন আবেদনকারীর বর্তমান স্কুল এই বিষয়ে 'নো অবজেকশন সার্টিফিকেট' বা এনওসি দেবে ৷ নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে বদলির আবেদন জানিয়েছিলেন মালদা জেলার ভাদো বিএস হাইস্কুলের কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষা এবং বাংলা বিভাগের দুই শিক্ষক যথাক্রমে শরিফুল ইসলাম ও গৌতম প্রামাণিক ৷ তাঁরা এই স্কুলে নিযুক্ত হয়েছিলেন 2013 সালে ৷
দুই শিক্ষকেরই অভিযোগ, বদলির জন্য এখনও পর্যন্ত 14 বার আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা ৷ কিন্তু, প্রত্যেকবারই সেই আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে ৷ অথচ, একই সময়সীমার মধ্য়ে এই দুই শিক্ষকের তুলনায় 'জুনিয়র' তিনজন সহকারী শিক্ষক একবার করে আবেদন জানাতেই তাঁদের বদলির আবেদন মঞ্জুর হয়ে যায় ৷ অভিযোগ, এই বিষয় মালদা জেলার স্কুল পরিদর্শক, স্কুল শিক্ষা দফতর, এসএসসি, এমনকী স্কুল শিক্ষা দফতরের কমিশনারকে আবেদন জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি ৷ সেই কারণেই শেষমেশ কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন দুই শিক্ষক ৷