কলকাতা, 29 জুন: কিশোরীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁর বাবা। সিবিআইকে মামলায় যুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি শম্পা দত্ত পাল। আগামী সোমবার মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। ওইদিন সিবিআইকে আদালতে হাজির থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।
জানা গিয়েছে, 2018 সালের 30 অক্টোবর মাসে মালদা কালিয়াচক আবাসিক মিশনের একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর মৃত্যু হয় ৷ মিশনের হস্টেলের পাঁচতলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে সে আত্মহত্যা করে বলে দাবি করে কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার কথা স্কুলেরই এক অভিভাবকের মারফৎ জানতে পারেন ছাত্রীর বাবা। খবর পাওয়ার পরেই চাঁচল থেকে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছয় ছাত্রীর পরিবার। ততক্ষণে চিকিৎসক জানিয়ে দেন, ছাত্রী আর বেঁচে নেই। এরপরেই স্কুল এবং আবাসিক কর্তৃপক্ষের কাছে মেয়ের মৃত্যুর কারণ জানতে চান বাবা ৷ কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, মেয়ে পাঁচতলার ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে । কর্তৃপক্ষের কথায় বেশ কিছু অসঙ্গতি ছিল বলে মনে করে ওই ছাত্রীর বাবা ।
তাঁর দাবি, মেয়ের দেহের কোন অংশেই আঘাতের চিহ্ন ছিল না ৷ পাশাপাশি হাড়ে কোন আঘাত লাগেনি । মেয়েকে পরিকল্পনা করে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে ৷ কালিয়াচক থানায় আবাসিক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তিনি। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে নিম্ন আদালতের দ্বারস্থ হয় ছাত্রীর পরিবার ৷ আবাসিক কর্তৃপক্ষ এলাকার একজন প্রভাবশালী ব্যক্তির দ্বারা পরিচালিত এবং যে কারণে পুলিশ 306 এবং 120 ধারায় মামলা রুজু করে বলে অভিযোগ করে পরিবার। নিম্ন আদালতে পুলিশ চার্জশিটে উল্লেখ করেছিল যে, এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন অভিযুক্ত পলাতক ৷ মেয়েটির পরিবারের অভিযোগ, পুলিশের সহযোগিতায় বেশ কয়েকজন অভিযুক্ত জামিনে ছাড়া পেয়ে যান এবং বেশ কয়েকজন নিরুদ্দেশ হয়ে যান ।
আরও পড়ুন:কালিয়াচকে দেহ উদ্ধারের 17 দিন পর নাবালিকার বাড়িতে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন, উঠছে প্রশ্ন