কলকাতা, 13 মার্চ: ফরেনসিক রিপোর্ট দিতে দেরির জন্য ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগের তদন্তে দেরি হচ্ছে। ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার স্পষ্ট নির্দেশ এটা চলতে পারে না। রাজ্য ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির অধিকর্তাকে বুধবার এ নিয়ে হাজিরা দিয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে (Calcutta HC Summoned Director of Laboratory) ৷
অন্য একটি মামলার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে আদালতের লিখিত পর্যবেক্ষণ, এক অধিকর্তার এত ঔদ্ধত্য যে একটি মামলার তদন্তকারী অফিসারকে লিখিতভাবে বলেছেন রিপোর্ট দিতে দেরি হবে। কারণ তাঁদের 2022 থেকে কাজ জমে রয়েছে। বিচারপতি মান্থার ক্ষোভ, এটা কী হচ্ছে ! একদিকে রিপোর্ট দিতে দেরি করছে ফরেনসিক ৷ অন্যদিকে একটা ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত বাইরে ঘুরছে ! এটা চলতে পারে না। ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনারকে পুরো ঘটনার তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে হবে।
একটা ধর্ষণের অভিযোগে ইতিমধ্যে দু'জন তদন্তকারী অফিসার নিয়োগ হয়েছেন। কিন্তু কার গাফিলতিতে এখনও অভিযুক্ত বাইরে ঘুরছেন, তাকে চিহ্নিত করে বিভাগীয় পদক্ষেপ করতে হবে। নির্দেশ বিচারপতির। এদিন বিচারপতি বলেন, "ধর্ষণের মতো অভিযোগে কেন অভিযুক্ত এখনও বাইরে ঘুরছে ? 22 অক্টোবরের ঘটনায় 9 নভেম্বর অভিযোগ দায়ের হয় দমদম থানায়। এয়ারপোর্ট 2 নম্বর গেট এলাকার একটি গেস্ট হাউসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন:ধর্ষণ করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ, গ্রেফতার ব্যবসায়ীর পুত্র ! মহেশতলায় ধুন্ধুমার
কিন্তু ওই গেস্ট হাউসের সিসিটিভি ফুটেজ পায়নি পুলিশ। এদিকে 11 নভেম্বর পাঠানো মেডিক্যাল পরীক্ষার নমুনা রিপোর্ট এতদিনেও ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি দেয়নি। ফরেনসিক রিপোর্ট দেওয়ার ক্ষেত্রে অযথা দেরি করছে, বিরক্ত মন্তব্য বিচারপতির। 2022 সালের একাধিক মামলার ফরেনসিক রিপোর্ট এখনও পড়ে রয়েছে কলকাতার অফিসে। কেন এই দেরি ক্ষুব্ধ বিচারপতি তাই ফরেনসিক সায়েন্সের অধিকর্তাকে আদালতে তলব করেছেন। উল্লেখ্য, ধর্ষণ ঠেকাতে গ্রাম বাংলায় 'আলো জ্বালাতে' উদ্যোগী হয়েছে হাইকোর্ট ৷ সন্ধে নামলেই অন্ধকারের চাদরে ঢাকা পড়ে বাংলার অধিকাংশ গ্রাম ৷ ঘটে ধর্ষণের (Rape) মতো নারকীয় ঘটনা ৷ তাই পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট ৷