ব্যবসায়ীকে আদালত চত্ত্বর থেকেই গ্রেফতারেই নির্দেশ হাইকোর্টের কলকাতা, 9 ফেব্রুয়ারি: প্রায় 400 কোটি টাকা কেলেঙ্কারিতে আইন ও শর্ত ফাঁকি দিয়ে নিম্ন আদালত থেকে জামিন নিয়েছিলেন দুই অভিযুক্ত ৷ তাঁদেরকে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) থেকেই ইডিকে হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দিল বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের সিঙ্গেল বেঞ্চ (Calcutta HC orders arrest of two businessmen) । হাইকোর্ট থেকেই ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন হাওড়ার ব্যবসায়ী শৈলেশ পাণ্ডে এবং প্রসেনজিৎ দাস ।
প্রায় 400 কোটির কেলেঙ্কারি মামলা রয়েছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে । 2022 এর অক্টোবর মাস নাগাদ শৈলেশ পাণ্ডের হাওড়ার বাড়ি থেকে 8 কোটির বেশি টাকা উদ্ধার হয় । চারজন গ্রেফতার হন । সম্প্রতি নিম্ন আদালত থেকে জামিন পান শৈলেশ এবং প্রসেনজিৎ । চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আসে ইডি । আজ দুই অভিযুক্তকে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ । দুই অভিযুক্তের উপস্থিতিতেই নিম্ন আদালতের রায় খারিজ করেন বিচারপতি ঘোষ । আদালত থেকেই তাঁদেরকে হেফাজতে নেওয়ার জন্যই ইডিকে নির্দেশ দেন তিনি । সেই মতো আদালত চত্বর থেকেই গ্রেফতার হন দুই অভিযুক্ত । বিকেল তিনটের মধ্যে নিম্ন আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ ।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর অক্টোবর মাসে শৈলেশকুমার পাণ্ডে এবং প্রসেনজিৎ দাস নামে হাওড়ার শিবপুরের ব্যবসায়ীর গাড়ি ও ফ্ল্যাট মিলিয়ে নগদে প্রায় আট কোটি টাকা উদ্ধার করে কলকাতা পুলিশ । সেই ঘটনার তদন্তে নেমে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের নরেন্দ্রপুর শাখার দু'টি অ্যাকাউন্ট থেকে মোট 77 কোটি টাকা লেনদেনের হদিস পায় পুলিশ । পরবর্তী তদন্তে আরও 17টি ভুয়ো ব্যাংক অ্যাকাউন্টের খোঁজ মেলে । যার মধ্যে ছ'টি খতিয়ে দেখে নতুন করে প্রায় 57 কোটি টাকা লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছিল কলকাতা পুলিশের ব্যাংক জালিয়াতি তদন্তকারী শাখা । এখনও পর্যন্ত 207 কোটি টাকা লেনদেনের হদিস মিলেছে ।
প্রসঙ্গত, গত 21 জানুয়ারি অভিযুক্তদের জামিন হলেও ইডিকে জানানো হয়নি (400 crore Money Laundering Case) । এই অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট । দীর্ঘ শুনানির পর আজ এজলাসে ডেকে পাঠানো হয় অভিযুক্তদের । রায় শোনানোর সঙ্গে সঙ্গেই গ্রেফতারের নির্দেশ দেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ (Justice Tirthankar Ghosh) ।
আরও পড়ুন:নির্দেশ অমান্য করে কেন বিকাশ মিশ্রকে হাসপাতালে রাখা হল ? আদালত অবমাননার অভিযোগ বিচারপতির