কলকাতা, 7 জুন: শান্তিপুরে রেশন-দুর্নীতি নিয়ে জেলাশাসকের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ৷ দুর্নীতিগ্রস্ত রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নিয়েছেন জেলাশাসক ? সেই সংক্রান্ত যাবতীয় নথি আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ ৷ উল্লেখ্য, শান্তিপুরের গয়েশপুর আমড়াতলার রেশন দোকানের ডিলারের বিরুদ্ধে মৃত ব্যক্তিদের কার্ডে খাদ্য সামগ্রী তুলে খোলাবাজারে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছিল ৷ 2020 সালের সেই মামলায় এ দিন জেলাশাসকের ভূমিকায় ক্ষোভপ্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি ৷
এ দিন প্রধান বিচারপতি রেশন-দুর্নীতির এই অভিযোগকে ‘সামাজিক অপরাধ’ বলে উল্লেখ করেন ৷ তাঁর মন্তব্য, ‘‘এটা সামাজিক অপরাধ ৷ মৃত ব্যক্তিদের নামের কার্ডে রেশন তুলে কী করে বাজারে বিক্রি করা হয় ? সংখ্যাটা 73 বা 31টি কার্ড, যাই হোক না কেন ৷ জেলাশাসক গা-ছাড়া মনোভাব দেখাচ্ছেন ৷ দোষ পাওয়া গেল, আর বরখাস্ত করা হল ৷ সেটা কোনও শাস্তি নয় ৷ কেন আর কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি ?’’
নদিয়ার শান্তিপুরের গয়েশপুর আমড়াতলার রেশন ডিলার আমিরুল ইসলাম মণ্ডল ৷ অভিযোগ, তিনি 73 জন মৃত ব্যক্তির রেশনকার্ডের অপব্যবহার করছিলেন ৷ মূলত মৃত ব্যক্তিদের নামে চাল, ডাল, গম-সহ অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য তুলে খোলাবাজারে বেশি দামে বিক্রি করছিলেন ৷ এ নিয়ে স্থানীয়রা জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে অভিযোগ জানান ৷ কিন্তু, কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে প্রশাসনের বিরুদ্ধে ৷ এর পর স্থানীয় এক ব্যক্তি 2020 সালে কলকাতা হাইকোর্টে এ নিয়ে একটি মামলা রুজু করেন ৷