কলকাতা, 12 ডিসেম্বর: 2016 সালে প্রাথমিকে যে 42 হাজার প্রার্থীর নিয়োগ হয়েছিল তার প্যানেল মঙ্গলবার আদালতে জমা দিতে পারল না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তাদের দাবি প্যানেল হয়েছিল জেলা ভিত্তিক। একইসঙ্গে এই প্যানেল শুধুমাত্র বোর্ডের কাছে রাখার জন্য। এটা জনগণের জন্য প্রকাশ করার কথা আইনে বলা নেই। বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ আগামী 20 ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ রিপোর্ট দিয়ে জানাবে তারা জেলাভিত্তিক যে প্যানেল প্রকাশের দাবি করছে সেই বিষয়ে।
এদিন পর্ষদের তরফে আইনজীবী লক্ষী গুপ্ত বলেন, "প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জেলাভিত্তিক প্যানেল প্রকাশ করেছিল। সমস্ত বিস্তারিত বিষয়-সহ তা এখনও ওয়েবসাইটে রয়েছে। প্যানেল প্রকাশ করা হয়নি এই বক্তব্য বোর্ড সম্পূর্ণ অস্বীকার করে।" অন্যদিকে, 2207টি বেআইনি নিয়োগ হয়েছিল বলে জানিয়েছিল ইডি। মামলাকারীদের বক্তব্য প্যানেল না-দেখে আদালত কীভাবে মূল্যায়ন করবে এদের নিয়োগ আইন সঙ্গত না বেআইনি? আদালতের নির্দেশ 20 ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ রিপোর্ট দিয়ে জানাবে তারা জেলা ভিত্তিক যে প্যানেল প্রকাশের দাবি করছে সেই বিষয়ে।
এদিন শুনানিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে আইনজীবী সুবীর স্যানাল ও লক্ষী গুপ্ত বলেন, "প্যানেল প্রকাশ করার কোনও আইন নেই। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় আলাদা আলাদা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ রয়েছে তারা প্যানেল প্রকাশ করেছিল। বোর্ড একসঙ্গে প্যানেল প্রকাশ করেনি। বিচারপতি অমৃতা সিনহা বলেন, "আমি সেই প্যানেল দেখতে চাই। এর সঙ্গে বহুচাকরি প্রার্থীর ভবিষ্যৎ জীবন নির্ভর করছে। শিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়, 6 বছর আগে প্যানেল প্রকাশ হয়েছিল। সেই প্যানেল বোর্ডের কাছে রয়েছে। সেটা প্রকাশ করার জন্য নয়।"