কলকাতা, 7 জুন: সরকার অনুমোদিত বেসরকারি স্কুলের তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার নির্দেশ হাইকোর্টের। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এদিন এই নির্দেশ দিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ যতগুলি বেসরকারি স্কুলকে অনুমোদন দিয়েছে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সেই তালিকা তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বুধবার সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক শিক্ষিকার দায়ের করা মামলার সূত্রে মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।
শিক্ষিকা সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি সরকার অনুমোদন প্রাপ্ত স্কুল থেকে বরখাস্ত করা হয়। যার জেরে তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।
সেই মামলার শুনানিতে গত 5 জুন পর্ষদের আইনজীবীর কাছে বিচারপতি জানতে চেয়েছিলেন, রাজ্যে পর্ষদ অনুমোদিত স্কুলের সংখ্যা ঠিক কত। কিন্তু এদিন মামলার শুনানিতে পর্ষদের আইনজীবী জানান, এই সংক্রান্ত কোনও তথ্য আপাতত তাঁদের কাছে নেই। বিষয়টি শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি বসু।
পর্ষদের আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, "আপনারা কোন যুগে পড়ে আছেন ? একজন অভিভাবক যিনি তাঁর ছেলে বা মেয়েকে ভরতি করবেন তার কি এটা জানার অধিকার নেই যে সেই স্কুল আদৌ সরকার অনুমোদিত কি না ? পর্ষদের তরফে কোনও ব্যবস্থা না-থাকলে কী করে সেই অভিভাবক জানতে পারবেন স্কুলটি প্রকৃত অর্থেই সরকার অনুমোদিত।" বিচারপতি বসু আরও বলেন, "এমনটা চলতে পারে না। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সমস্ত তথ্য একত্রিত করে পর্ষদ অনুমোদিত স্কুলের তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে।"
আরও পড়ুন:নিয়োগ দুর্নীতিতে নতুন করে 20 জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে নোটিশ জারির নির্দেশ হাইকোর্টের
যদিও বিচারপতির কাছে চার সপ্তাহের সময় চান পর্ষদের আইনজীবী। যার প্রেক্ষিতে বিচারপতি বসুর নির্দেশ, স্কুলগুলির তথ্য জোগাড় করে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে পর্ষদকে রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে। তারপর সেই সমস্ত স্কুলে পরিদর্শন করবেন সংশ্লিষ্ট জেলা স্কুল পরিদর্শকরা। কোনও পরিকাঠামোগত ঘাটতি থাকলে মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে তা জানাবেন স্কুল পরিদর্শকরা। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যের সমস্ত সরকার অনুমোদিত স্কুলের তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। দু'সপ্তাহ পর ফের মামলার শুনানি।